মমতা শঙ্করে মুগ্ধ চট্টগ্রাম

বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২২ মার্চ, ২০২১ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধা জানাতে, সেই সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার, ভারতীয় হাইকমিশন ঢাকা এবং ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন চট্টগ্রামের সমন্বিত উদ্যোগে বিশ্বখ্যাত নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর ও তাঁর দলের পরিবেশনায় নৃত্যানুষ্ঠানের জমজমাট আয়োজন ছিল গতকাল নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে।
উদয় শঙ্কর ও অমলা শঙ্করের কন্যা এবং চন্দ্রোদয় ঘোষের স্ত্রী মমতা শঙ্কর একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার ও অভিনেত্রী। তাঁর অসামান্য অভিনয় প্রতিভা বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের জন্য ‘সেরা অভিনেত্রী’ পুরস্কার প্রাপ্তির পথ প্রশস্ত করেছিল। পাশাপাশি সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, রাজা মিত্র, গৌতম ঘোষের মতো পরিচালকদের সাথে কাজ করার বিরল সুযোগও দিয়েছিল।

চন্দ্রোদয় ঘোষ মমতা শংকর ব্যালে ট্রুপের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। তিনি ট্রুপের সমস্ত প্রযোজনার জন্য আলোক পরিকল্পনা প্রস্তুত করেন এবং ট্রুপটি পরিচালনা করেন। গতকাল মমতার অপূর্ণ নৃত্যশৈলী ও দলের পরিবেশনা মুগ্ধ করে দর্শকদের। মমতায় মুগ্ধ চট্টগ্রাম। হল থেকে বেরিয়ে দর্শকরা বলেন, এই পরিবেশনা তাদের অনেকদিন মনে থাকবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী এবং সাহসী নেতা ছিলেন। বাংলাদেশের জন্য তাঁর ত্যাগ বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবং সোনার বাংলা গড়ার জন্য লড়াই করেছিলেন। আজ তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের মানুষ যখন সীমাহীন কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে এদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শক্তিশালী ভাষণ বাংলাদেশের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের সৌভাগ্য যে ভারতের মতো একটি বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র সেদিন পাশে দাঁড়িয়েছিল। সেই অকৃত্রিম বন্ধুত্ব আজও অটুট রয়েছে। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে আমরা বাংলাদেশের অনেক অর্জনে, বিশেষত অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে, আমরা গর্বিত। ১৯৭১ সাল থেকে ভারত দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযেভাবে উন্নয়শীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধশহীদ মাহমুদ জঙ্গির সাক্ষাৎকার