চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের উপ নির্বাচনে গতকাল মনোনয়নপত্র জমাদনের শেষ দিনে ২৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থীরা নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের সাথে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। সাধারণ ওয়ার্ডের এই উপ নির্বাচনে দুইজন মহিলা প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২২ জন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থক। ১ জন বিএনপি প্রার্থী এবং ২ জন স্বতস্ত্র প্রার্থী। আজ ১৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ের শেষ দিন। ১৯ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ।
গতকাল ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. সামশেদ নেওয়াজ রনি, আওয়ামীলীগ নেতা মো. নাজিম উদ্দীন, যুবলীগ নেতা নূর মোস্তফা টিনু, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মমতাজ খান, ৭ বারের কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর স্ত্রী মেহেরুন্নিছা খানম, মো. আলী আকবর হোসেন চৌধুরী, মো. সেলিম রহমান, কায়ছার আহমেদ, আবুল কালাম চৌধুরী, শওকত ওসমান, মো. নোমান চৌধুরী, মো. শাহেদুল আজম শাকিল, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, মো. মজিবুর রহমান, মো. আজিজুর রহমান, মো. আব্দুর রউফ, কাজল প্রিয়া বড়ুয়া, মো. নুরুল হুদা, কাজী মুহাম্মদ ইমরান, মো. রুবেল ছিদ্দিকী, মো. দেলোয়ার হাছান, মো. আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ জাবেদ, এ কে এম সালাউদ্দিন কাউসার লাভু, ইয়াছিন আহমেদ। আওয়ামী লীগের এতো প্রার্থীর মধ্যে এই ওয়ার্ডে বিএনপি থেকে একক প্রার্থী হয়েছেন এ কে এম সালাউদ্দিন কাউসার লাভু।
এই ওয়ার্ডে উপ নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে। ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২১৬ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৮২৫ জন। ১৫টি ভোট কেন্দ্রে আগামী ৭ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আজাদীকে জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে ২৫জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়নপত্র জমাদনের শেষ দিনে ২৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত বছরের ১৮ মার্চ এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর মৃত্যুতে শূন্য হয় এই ওয়ার্ডটি। মিন্টু এই ওয়ার্ডে পরপর ৭ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।