মডার্ন জুট মিলসের এমডি সহ সাতজনের বিরুদ্ধে ৫ মাসের আটকাদেশ

তেত্রিশ বছরের পুরনো ঋণ খেলাপি মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

তেত্রিশ বছরের পুরনো ২ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলায় সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকার মডার্ন জুট মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) একেএম নাজমুল হোসেন সহ সাতজন বিরুদ্ধে ৫ মাসের দেওয়ানী আটকাদেশ প্রদান করেছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। বাকীরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মাহমুদুর রহমান, একেএম নুরুল হোসেন, রোকেয়া হোসেন, এমএ সানা, মনোয়ারা হোসেন ও রকা হোসেন।

গতকাল চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে ব্যাংকের পক্ষ থেকে আটকাদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ডিক্রিদার জনতা ব্যাংকের পক্ষ থেকে সাতজনের বিরুদ্ধে আটকাদেশ চেয়ে আবেদন করা হলে বিচারক ৫ মাসের আটকাদেশটি দেন। পাশাপাশি প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পরোয়ানাও জারি করা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ঋণ আদায়ের দাবিতে জনতা ব্যাংক লালদীঘি কর্পোরেট শাখা ১৯৯০ সালে দায়িকদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ মামলাটি দায়ের করেন। ১৯৯০ সালের ১ ডিসেম্বর দায়িকদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫ লাখ ৩৯ হাজার ১৮২ টাকার ডিক্রি জারি হয়। যা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু দায়িকরা নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধ করেন নি। একপর্যায়ে ১৯৯২ সালের ২৩ নভেম্বর দায়িকদের বিরুদ্ধে মানি জারি মামলা দায়ের করে ডিক্রিদার ব্যাংক। আদালতসূত্র আরো জানায়, ঋণের বিপরীতে বন্ধকীকৃত এবং ক্রোককৃত স্থাবর সম্পত্তি থেকে ডিক্রিকৃত টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ডিক্রিদার ব্যাংক দায়িকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করলে ২০০৩ সালের ১৪ অক্টোবর দায়িকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। উক্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর পর দীর্ঘ ২০ বছর অতিবাহিত হলেও দায়িকরা ঋণ পরিশোধে এগিয়ে আসেননি। গ্রপ্তারি পরোয়ানা তামিল করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেও তামিল হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটোল আদায়ের টেন্ডারে ৬ মাসের স্থগিতাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধএবার মূল ক্যাম্পাসে অবস্থান