ভয় পেয়ে আক্রমণ করছে সরকার : ফখরুল

| শুক্রবার , ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ

চলমান আন্দোলনে ভীত হয়ে বিরোধী দলের ওপর সরকার আক্রমণ শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলছেন, কিছু আগে (সরকার) বলতেন যে, আমরা নাকি রাস্তায় দাঁড়াতে পারি না, আমাদের নাকি কোমর নেই। এখন এত অস্থির হয়ে গেছেন যে, সবরকম শক্তি নিয়োগ করেই আপনারা জনগণের ওপর অত্যাচার করছেন, নিপীড়ন করছেন- এই আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য। তার অর্থই হচ্ছে যে, সরকারের এখন পায়ের তলে মাটি নেই এবং সরকার প্রমাদ গুনছে, ভয় পেয়েছে; অত্যন্ত বেশি ভীত হয়েই তারা এসব আক্রমণ চালাচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।

গণঅবস্থান কর্মসূচিতে ফরিদপুর-ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের হামলার অভিযোগ টেনে গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বিরোধীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনেক কথারই আমরা জবাব দিই না। উনি কখন কী বলেন- জনগণ ঠিক বুঝতে পারে না, কী লক্ষ্যে বলেন, কী কারণে বলেন! আমরা মনে করি যে, এগুলোর জবাব দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই।

কাজেই সেটা প্রমাণ হবে। যেদিন পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমপর্ণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তার আগের দিনই ইয়াহিয়া খান বলেছিলেন, জং জারি রায়ে গা। পতন যখন স্পষ্ট হয়, পতন যখন আঘাত করতে আসতে থাকে, পতন যখন দেখতে পায়, তখন এই ধরনের অসংলগ্ন কথা অনেক বেরিয়ে আসে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, গণঅবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সামনেই হামলা চালায়। পুলিশ সেখানে শুধু নীরব দর্শকের ভূমিকাই পালন করেনি, উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে, লাঠিচার্জ করেছে, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। গণঅবস্থানে একদিনে সারাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় শতাধিক এবং আহত প্রায় আড়াইশ। ফরিদপুরে পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করেছে।

সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে গঠিত বিভিন্ন জোট নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আমি আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদকের কথার উত্তর দিই না। কারণ আমার মতই সারাদেশে মানুষও উনার কথায় গুরুত্ব দেয় না। সেটার প্রমাণ আপনারা পান যে, উনার এই যে স্মার্ট বাংলাদেশ বলার সঙ্গে সঙ্গে- যে ঘটনা ঘটেছে, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে প্রতীকী ঘটনা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি ১০ দফা দাবি আদায় ও বিদ্যুতের মূল্য কমানোর দাবিতে দেশব্যাপী সকল মহানগর ও সকল উপজেলায় সমাবেশ ও মিছিল হবে। গতকাল বোধ হয় আমরা জেলা বলেছিলাম, জেলাটা হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনটরডেম কলেজ ও বাওয়া স্কুল চ্যাম্পিয়ন
পরবর্তী নিবন্ধনাইক্ষ্যংছড়িতে ছিনিয়ে নেয়া ৭ গরু ও দুই হাতকড়া উদ্ধার