ভ্রমণ বিলাসিতা নয় বরং জরুরি

লালন কান্তি দাশ | রবিবার , ২৩ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার তৃষ্ণা মানুষের চিরন্তন। বলা হয়ে থাকে হাজার বার শোনার চেয়ে একবার দেখা ভালো। মূলত অদেখা দেখা এবং অজানাকে জানার তীব্র ইচ্ছা থেকেই জন্ম হয় ভ্রমণ পিপাসার। তাই সৌন্দর্য ও ভ্রমণপিপাসু মানুষ ছুটে চলে দেশ-বিদেশে। ভ্রমণকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটছে অতি দ্রুত। শারীরিক ক্লান্তি কিংবা নানাবিধ মানসিক চাপ থেকে মানুষ যখন মুক্তি পেতে চায়, তখন ভ্রমণ ঔষধের মতে কাজ করে।

করোনাকালীন গৃহবন্দী জীবন মানুষের শরীর ও মনকে বিষিয়ে তুলেছিল। বিভিন্ন দেশে আরোপ হয়েছিল ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় এবং বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ভ্রমণে আবারো ফিরে এসেছে গতি। প্রকৃতপক্ষে বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীর অনিন্দ্য সুন্দর রূপ প্রত্যক্ষ করতে হলে ভ্রমণের বিকল্প নেই। তাই সময়-সুযোগ হলে যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততাকে কয়েকদিনের জন্য ছুটি দিয়ে পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধুদের সাথে দল বেঁধে বেরিয়ে পড়ুন ভ্রমণে। সঙ্গী না পেলে একা ঘুরতে চলে যান। হারিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে। উপভোগ করুন উঁচু -নিচু পাহাড় ঘেরা সবুজ প্রকৃতি, নদ-নদী-ঝর্ণা কিংবা নীলাভ সমুদ্রের অকৃত্রিম সৌন্দর্যকে।

শিশুদের পরিচয় করিয়ে দিন বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শনের সাথে। ভ্রমণ করলে মানুষ বুঝতে পারে পৃথিবীর তুলনায় সে কত ক্ষুদ্র। দার্শনিক সেন্ট অগাস্টিনের একটি বিখ্যাত উক্তি হল-‘পৃথিবী হল একটি বই এবং যে ভ্রমণ করে না সে কেবল এই বইয়ের একটি মাত্র পৃষ্ঠা পড়ে’। ভ্রমণে ব্যয় হলেও তা কোনো না কোনোভাবে আপনার কাছে ফিরে আসে। ভ্রমণে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। অভিজ্ঞতা বাড়ে। কাউকে বলার মত সুন্দর স্মৃতি জমা হয়। ভিন্ন সংস্কৃতির সাথে পরিচয় ঘটে। তাই ভ্রমণ করুন। নিজের দেশকে জানুন। বিশ্বকে চিনুন। সেইসাথে পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি দেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করুন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহেমন্ত
পরবর্তী নিবন্ধঝরাপালক