ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে সচেতন হতে হবে

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ | শুক্রবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

আমরা নিরন্তর ঠকছি, প্রতারিত হচ্ছি দ্রব্য মূল্য ক্রয়ে। অবিরত পকেট কাটছে ব্যবসায়ীরা। কেউ কৌশলে প্রতারণার ফাঁদ কাটছে, ক্ষুণ্ন হচ্ছে আমার অধিকার। জাতি গঠনের যুবরা জাতি গঠনের বৈপরীত্যে গড়ছেন নিজের পকেট ভারী, অর্থ উপার্জনের সুরম্য পথ।এতে কোনঠাসা হয়ে পরছেন সাধারন জনগন। ফলে পিয়াজের দাম হয় আকাশ ছোঁয়া, চাউল ময়দা তেলের দাম হয় উর্ধমুখী। বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হয় জনতার নিয়ন্ত্রেণের বাহিরে। চিনি স্বদেশী পণ্য হয়েও ক্রয় করতে হয় অধিক দামে। ফলে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উধাও হয়ে গেছে সব ধরনের পিঠা ও নাস্তা সামগ্রী। মোদ্দা কথায় বাঙালি পৌষ পার্বনের পিঠা ঐতিহ্য হারিয়েছে। চিরায়িত বাঙলায় চিরায়িত দৃশ্যের আর দেখা মিলেনা। কার কথা কে শুনে? দেখিনা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের প্রশাসনের কার্যকরী মনিটরিং। বলাবাহুল্য, আমরা পারি, তার স্খলন চরিত্র রুখতে। আমরা পারি, স্বতঃফূর্ত ভাবে সরকারকে সাহায্য করতে। প্রয়োজনে ফরমালিন যুক্ত মাছ, ফলমূল,শাক-সবজি সহ যাবতীয় পণ্যের ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে ভোক্তা অধিকার আইনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এমতাবস্থা থেকে মুক্তি ছাড়া বিকল্প নেই। ব্যর্থ হলে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। গড়াগড়ির সর্বশেষ ঠিকানা হাসপাতালে। রোগীতে সয়লাব হবে এবং হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই আসুন আমরা সচেতন হই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে সরকার ও পাশের লোকটিকে ও অনুপ্রাণিত করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদক্ষিণ কাট্টলী গগনের ছড়া’র বেহাল অবস্থা, সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি
পরবর্তী নিবন্ধআত্মপ্রেম বা নার্সিসিজম