ফটিকছড়ির ভূজপুরের দাঁতমারা এলাকায় তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় মো. রফিক নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রফিক দাঁতমারার পূর্ব সোনাই এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে। ঘটনার সময় পেশায় তিনি মুদির দোকানি ছিলেন। গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এম এ নাসের চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মো. রফিককে এ সাজা দিয়েছেন বিচারক। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আটজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ভুক্তভোগীর জেঠাত ভাই ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট ভূজপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, দাঁতমারার পূর্ব সোনাই এলাকায় আসামি মো. রফিক মুদি দোকান করতেন, যা তরুণীর বাসা থেকে সামান্য দূরে। প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র ক্রয় করতে তরুণী ওই দোকানে যাওয়া–আসা করতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ তরুণী দোকানটিতে যান। লোকজন না থাকায় রফিক তাকে দোকানের ভেতরে নিয়ে যান এবং দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে বিয়ে করার আশ্বাস দেওয়া হয়। এর বিনিময়ে ঘটনা গোপন রাখার কথা বলেন। পরে তরুণীকে আরো কয়েকবার ধর্ষণ করা হয়। এতে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে ঘটনা জানাজানি হয়।