বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসার ছোঁয়ায় বাড়ল ভিড়, বাড়ল বেচাকেনাও

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসার ছোঁয়ায় জমজমাট ছিল বইমেলা। মেলায় আসা পাঠক ও দর্শনার্থীর বুকে ছিল প্রেম ও পরনে বসন্তের পোশাক। মেলামঞ্চেও ছিল বসন্ত বরণের নানা আয়োজন। সবমিলিয়ে মেলাজুড়ে ছিল বসন্তের আমেজ।

নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে চলছে বইমেলা। গতকাল ছিল মেলার সপ্তম দিন। মেলাপ্রাঙ্গণের অদূরে সিআরবি। সেখানে সকালে শুরু হয় বসন্ত উৎসবের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। বিকেলে দরজা খোলে বইমেলার। এবার সিআরবি’র সেই প্রেমিক ও বসন্তপ্রেমীরা ছুটে আসেন বইমেলায়। সন্ধ্যা গড়াতেই ভিড় বাড়ে তাদের। বাড়ে বেচাকেনাও।

প্রকাশনা সংস্থা দ্বিমত এর ম্যানেজিং পার্টনার হোসাইন জাহিদ আজাদীকে বলেন, আজ প্রচুর দর্শনার্থী এসছে। তিনি জানান, দ্বিমত ৩১টি বই প্রকাশ করবে। এর মধ্য ২৮ টি মেলায় চলে আসছে। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও প্রবন্ধগ্রন্থ রয়েছে।

মেলায় আসা নতুন বইগুলোর মধ্যে বিক্রির তালিকায় এগিয়ে ছিল জাহেদ মোতালেব এর ‘তোমায় বড় ভালোবাসি’, আহমেদ কুতুব এর ‘কারাগারের অন্দরমহল’, ফজলুল কবিরী এর ‘লেখকের বুদ্ধিভিত্তিক দায় ও দর্শনের খোঁজে’ এবং আফছার উদ্দিন লিটন এর ‘বিশ্ব কাঁপানো করোনা’। ‘তোমায় বড় ভালোবাসি’ এর ফ্ল্যাপে লেখা হয়, আমি আজ বাংলার মানুষকে দেখলাম, বাংলার মাটিকে দেখলাম, বাংলার আকাশকে দেখলাম, বাংলার আবহাওয়াকে অনুভব করলাম। বাংলাকে আমি সালাম জানাই। আমার সোনার বাংলা তোমায় আমি বড় ভালোবাসি । বোধ হয় তার জন্যই আমায় ডেকে নিয়ে এসেছে’।

কারাগারের অন্দরমহল’ এর ভূমিকায় লেখা হয়, সাংবাদিকের চোখে কারাগার একটু ব্যতিক্রম। আহমেদ কুতুব এর বইটি কারাগার নিয়ে কৌতুহুলী মানুষের মনের ক্ষুধা কিছুটা হলেও মিটাতে পারবে। বইটিতে স্থান পাওয়া প্রতিটি লেখাই তথ্য সমৃদ্ধ।

লেখকের বুদ্ধিভিত্তিক দায় ও দর্শনের খোঁজে এর ফ্ল্যাপে লেখা হয়, ফজলুল কবিরী সতর্কতার সাথে দৃষ্টি প্রসারিত করে দেখাতে চেয়েছেন সমাজরাষ্ট্রে বিদ্যমান লেখকের বুদ্ধিবৃত্তিক তৎপরতা ও দার্শনিক প্রভাবকে। গদ্যের খামারে এ ধরনের বই অভিনব এবং সময়ে সময়ে সাহিত্যসংস্কৃতিতে যেসব পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় তার কিছু ঝাঁজ ও প্রসাদের নির্যাস তার লেখকের বুদ্ধিবৃত্তিক দায় ও দর্শনের খোঁজে বইটি।

বিশ্ব কাঁপানো করোনা’ এর ফ্ল্যাপে লেখা হয়, ২৩টি প্রবন্ধ নিয়ে লেখা গ্রন্থটিকে অবলীলায় একটি গবেষণামূলক গ্রন্থ হিসেবে অভিহিত করা যায়। যদিও এ গ্রন্থে মৌলিক লেখা রয়েছে ১৩টি। কাজেই মৌলিক এবং গবেষণাধর্মী লেখার একটি দলিল এ গ্রন্থ।

এদিকে মেলামঞ্চে অনুষ্ঠিত বসন্ত উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন শাহ আলম নীপুর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চসিক প্যানেল মেয়র আফরোজা জহুর (কালাম)

সিএমপি কমিশনার বসন্ত উৎসব ও ভালবাসা দিবসে বই উপহার দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বই মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশ ঘটায়।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিএমপি’র উপপুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নুল আবেদীন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ ইলিয়াস, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়ির সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই মেলা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীর ১০ অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা আজ হাতে পাচ্ছেন বীর নিবাস
পরবর্তী নিবন্ধভূজপুরে তরুণীকে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন