ভুয়া স্বাক্ষর ও জাল কাগজে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা

কর্ণফুলী ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৫ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখায় ভুয়া স্বাক্ষর ও কাগজপত্র সৃজনের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের চেষ্টায় কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ২য় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন শহীদুল ইসলাম চৌধুরী নামে মিরসরাই উপজেলার এক বাসিন্দা। এ সময় আদালত মামলাটি পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় আসামিরা হলেন, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সাইফুল ইসলাম, মো. ইউসুফ ও মোহাম্মদ আলী। এদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী কর্ণফুলী উপজেলার ১ নং চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বাকিদের মধ্যে মোজাম্মেল হক এলএ শাখায় দালাল চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট এনামুল হক জানান, এলএ শাখার একটি চিহ্নিত প্রতারক চক্র সম্পূর্ণ ভূয়া একটি চুক্তিপত্র তৈরীর মাধ্যমে শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীকে হয়রানি করছেন। আমরা প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উত্থাপন করে মামলা দায়ের করলে আদালত শুনানি শেষে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন প্রকল্পে ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয কাগজপত্র জমা দিই। গত ১৮ জুন চট্টগ্রাম এলএ শাখা থেকে ক্ষতিপূরণের চেক পেয়ে ২৩ জুন টাকা উত্তোলন করি। টাকা উত্তোলনের প্রায় চারমাস পর গত ১২ অক্টোবর ভূমি অধিগ্রহণ শাখা হতে আমার কাছে একটি নোটিশ জারি করা হয় যেখানে আমার টাকা উত্তোলন বিষয়ে মুজাম্মেল হক নামে এক ব্যক্তি আপত্তির বিষয়টি উল্লেখ করেন। সেই শুনানিতে আমি অংশগ্রহণ করলেও আপত্তি প্রদানকারী ব্যক্তি অংশ নেয়নি। শুনানিতে গিয়ে পরে আমি জানতে পারি মুজাম্মেল হক আমার স্বাক্ষর জাল করে এক ব্যক্তি ভূয়া চুক্তিপত্র তৈরি করে আমার কাছে ৫০ লক্ষ টাকা পাবে বলে দাবি করে। চুক্তিপত্রে চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর কাউন্টার স্বাক্ষর এবং সিল রয়েছে। একই চুক্তিপত্রে সাইফুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ ইউছুপ নামের দুইজন সাক্ষী রাখা হয়েছে।
গত ২৯ অক্টোবর তার অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি উল্লেখ করে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়সার খসরু একটি চিঠিও ইস্যু করেন। তিনি বলেন, স্বাক্ষর জালিয়তি ও ভুয়া কাগজপত্র সৃজনের মাধ্যমে প্রতারণার বিষয়ে গত ১ নভেম্বর জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে অবগত করি। গতকাল আদালতে চারজনের বিরদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিলামে তোলা হচ্ছে বন্দরের তিন কন্টেনার জাহাজ
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় অর্ধশতাধিক বাসের হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণ