ভাসানচর যাচ্ছে আরো ৪ হাজার রোহিঙ্গা

উখিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ

চতুর্থ দফায় আরও প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচর যাচ্ছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ভাসানচরে যাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় আজ ও কাল (সোমবার) চার ধাপে তাদের নিয়ে ক্যাম্প ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আজ দুই ধাপে দুই হাজারের মতো রোহিঙ্গা সড়কপথে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে উখিয়া থেকে রওনা দেবেন।
এর আগে গতকাল সকাল থেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের মালামাল ক্যাম্প থেকে নিয়ে আসা হয়। দুপুরে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা উখিয়া কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে আসতে শুরু করেন। একটি দায়িত্বশীল সংস্থার তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। এবারও তাদের নেতৃত্বে চতুর্থ দফায় ভাসানচর যাবেন রোহিঙ্গারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগের মত উখিয়া কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে বাস প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। দুই ধাপে ৭২টি বাস ও প্রয়োজনীয় অন্য যানবাহন চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবে। আর আগামীকাল যারা ভাসানচরের পথে রওয়ানা দেবেন, তারা আজ সন্ধ্যা ও কাল দুপুরের মধ্যে ট্রানজিট পয়েন্টে আসবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এবার ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। কিন্তু আজ ও কাল রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর নিয়ে কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেছে বলে জানিয়েছে অসমর্থিত সূত্র।
নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ক্যাম্পের মাঝিরা (রোহিঙ্গা নেতা) নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগে যারা ভাসানচরে গিয়েছেন, তাদের জীবনচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা সেখানে যেতে আগ্রহী হয়ে অপেক্ষা করছেন। তবে প্রথম যাত্রার আগে অনেক বুঝিয়েও তাদের রাজি করানো কষ্টকর ছিল। এখন চিত্র পাল্টেছে। তারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে নাম লিখিয়েছেন। ভাসানচরে গত ৪ ও ২৮ ডিসেম্বর এবং ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি যাদের আত্মীয়স্বজন গিয়েছে, তাদের কাছে সুযোগ-সুবিধার খবর শুনে অনেকেই সেখানে যেতে ইচ্ছুক।
সূত্র মতে, নোয়াখালীর হাতিয়ায় সাগরের মাঝে ভেসে থাকা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সব ধরনের সুবিধা সংবলিত ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষায় রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থাও। বসবাসের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তা দেখতে গত সেপ্টেম্বরে ৪০ রোহিঙ্গা নেতাকে সেখানে নিয়ে যায় সরকার। ভাসানচরের আবাসন ব্যবস্থা দেখে মুগ্ধ হয়ে তারা ক্যাম্পে ফিরে অন্যদের সেখানে
যেতে উদ্বুদ্ধ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৮ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ৪২৮টি পরিবারের এক হাজার ৮০৫ রোহিঙ্গা এবং ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি আরও প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তরিত হয়েছে। সেখানে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা স্থানান্তরিত হয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধখেলাচ্ছলে ওড়না পেঁচিয়ে গেল গলায় শিশুর করুণ মৃত্যু