ভাসমান মানুষদের দুর্ভোগ লাঘবে চাই স্থায়ী সমাধান

| শুক্রবার , ৮ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

শীতের এ তীব্রতারকালে সরেজমিনে দেখা যায়, খোলা আকাশের নীচে ফুটপাত, রাস্তার ধারে, যাত্রী ছাউনিতে,রেলস্টেশন কিংবা ব্রিজের নিচে রাত পার করছে এসব সহায়-সম্বলহীন মানুষ। প্রতিবছর শীত এলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, পত্র-পত্রিকাসহ টেলিভিশন চ্যানেলে সমাজের উচ্চবিত্ত ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কর্তৃক ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীত নিবারণের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি দেখা যায়। এরপরও তা তাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়, ভাসমান সকল মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে না এসব সামাজিক সংগঠনগুলো। ফলে প্রতি বছর ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা কমার পরিবর্তে তা বাড়ে দিগুণ হারে। সরকারের পক্ষ থেকেও এসব ভাসমান মানুষদের জন্য স্থায়ী কোন সমাধান চোখে পড়ে না। সমপ্রতি দেশে প্রায় তিন হাজার একশ কোটি টাকা খরচ করে ভাসানচরে মিয়ানমার রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরি করেছে বাংলাদেশ সরকার। ভাসানচরে যাওয়া প্রত্যেক রোহিঙ্গা পরিবার পাচ্ছে আলাদা ঘর, আছে রান্নার ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ পানি আর পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা৷ সেই সঙ্গে আছে খেলার মাঠ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও জীবিকানির্বাহের সুযোগ। ভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য সরকার স্থায়ী বাসস্থান নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলেও দেশের ছিন্নমূল মানুষেরা দিন শেষে সকলের অগোচরে থেকে যাচ্ছে। সরকারের উচিত দেশের ছিন্নমূল অসহায় মানুষের জন্য স্থায়ী বাসস্থান নির্মাণ ও জীবিকা নির্বাহের সুযোগ তৈরি করা। এতে দরিদ্রের পরিমাণ যেমন একদিকে কমবে অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।
আরিফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দর কলেজ
নতুন পাঠ্য বই বিতরণ
করোনার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে বই বিতরণ করে শেখ হাসিনার সরকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নতুন পাঠ্যবই হাতে পেয়ে অগণিত শিশু কিশোররা আনন্দে মেতে উঠে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশজুড়ে বই বিতরণ করে আসছে। এতে শিক্ষা, উন্নয়ন ও প্রগতির আমাদের দেশ তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য লাভ করতে সমর্থ হবে। সরকারের এই উদ্যোগ সব মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
নজরুল ইসলাম অপু, বহদ্দারবাড়ি, বহদ্দারহাট, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাত নকশার ফোল্ডএবল স্মার্টফোন
পরবর্তী নিবন্ধ‘বাংলা কিউআর’ নীতিমালা জারি