ভারত জানালেই পি কে হালদারকে আনার বিষয়ে ব্যবস্থা

| সোমবার , ১৬ মে, ২০২২ at ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ

বিপুল অর্থ আত্মসাতের পর পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে থাকা পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ভারত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারকে কিছু জানায়নি। ভারত এ ব্যাপারে জানালেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পি কে হালদার ওয়ান্টেড ব্যক্তি, ইন্টারপোলের মাধ্যমে অনেকদিন ধরে তাকে চাচ্ছি। সে গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে আমাদের কাছে এখনো (ভারত থেকে) অফিসিয়ালি কিছু আসেনি। আমাদের যা কাজ থাকে, তা হলো আইনগতভাবে তাকে…। খবর বিডিনিউজের।
‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ইতিহাসের পুনঃনির্মাণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পি কে হালদারের বিষয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক খাত থেকে বিপুল অর্থ আত্মসাতের পর পালিয়ে থাকা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার নামে পরিচিত। হাজার কোটি টাকা আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে বছর কয়েক ধরে ফেরারি জীবনযাপন করা পি কে হালদার কানাডায় পালিয়েছিলেন বলে গুঞ্জন ছড়ালেও গ্রেপ্তার হয়েছেন ভারতে; যেখানে তার ও সহযোগীদের বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ আসছে। ভারতের ব্যাঙ্কশাল স্পেশাল সিবিআই আদালত পি কে হালদার ও তার চার সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে বলে খবর এসেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।
বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদারের বিপুল অর্থ আত্মসাতের ঘটনা সামনে আসার পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত নামলে গা ঢাকা দেন তিনি। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর ভারতে গ্রেপ্তারের খবরের সঙ্গে সঙ্গে তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা এবং তার ভাইকেও পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়।
হঠাৎ করে শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তার এবং সহযোগীদের সম্পদের খোঁজে অভিযান শুরু হলে নতুন করে ওঠে আলোচনা। তাদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ১০ জায়গায় অভিযানের খবর আসে।
ফেরাতে সব চেষ্টা করা হবে : বাংলানিউজ জানায়, পি কে হালদারকে ফেরাতে বন্দি বিনিময় চুক্তি ও ইন্টারপোলের সহযোগিতাসহ সব ধরনের মাধ্যমে চেষ্টা করা হবে। গতকাল এমন মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আমাদের তথ্য-উপাত্ত আছে, সেগুলো যদি ভারতকে দিই, যেভাবে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করেছে তাদের টিম, ঠিক সেভাবে সে গতিতে যদি কাজটি করে, আমি মনে করি ৩ থেকে ৬ মাসের বেশি লাগার কথা না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসামির দায়ের কোপে বিচ্ছিন্ন পুলিশের কবজি
পরবর্তী নিবন্ধজুলাইয়ে জাহাজ ভিড়বে পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালে