ভারতের আদালতে বেকসুর খালাস পেলেন সালাহ উদ্দিন

শীঘ্রই ফিরতে চান দেশে

পেকুয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বাংলাদেশের সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বেকসুর খালাস পেয়েছেন। মেঘালয় থেকে তিনি এখন ফিরতে চান দেশে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য নয় বছর ধরে ভারতের বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে রয়েছেন, মোকাবেলা করছেন ভারতে অনুপ্রবেশের মামলা।

সালাহ উদ্দিন গতকাল বুধবার টেলিফোনে বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) শিলং জজ কোর্টের আপিল বিভাগ আমাকে বেকসুর খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ। এখন আমি নিজের দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি। ভারত যখনই আমাকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেবে, তখন দেশে ফিরব। এই সময়টা কখন হবে, সেটার অপেক্ষায় আছি আমি।

সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তিনি যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এরপর দীর্ঘ ৬২ দিন গুম থাকার পর ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং শহরের গলফ কোর্স মাঠের পাশে অসুস্থ অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। ভারতে প্রবেশ করলেও তার কোনো বৈধ কাগজপত্র সেসময় মেঘালয় পুলিশ না পাওয়ায় ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। সেই মামলায় ২০১৫ সালের ২২ জুলাই শিলংয়ের আদালতে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়।

বিডিনিউজ জানায়, সালাহ উদ্দিন বলেন, যে মামলা মেঘালয় পুলিশ করেছিল, ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর সেই মামলায় নিম্ন আদালত আমাকে খালাস দিয়েছিলেন। পরে সেই রায়ের বিরুদ্ধে ভারত সরকার আপিল করে। ওই আপিল নিষ্পত্তি করে শিলং জজ কোর্ট গতকাল আমাকে আবার বেকসুর খালাস দেয়। দ্রুত যেন আমাকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়, সেই নির্দেশনা আদালত দিয়েছেন।

সালাহ উদ্দিন বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা হয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন তিনি। পরে সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে নামেন। ২০০১ সালে তিনি কঙবাজার থেকে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, পরে চারদলীয় জোট সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমদও সংসদ সদস্য ছিলেন।

ভারতে আটকের সময়ে সালাহ উদ্দিন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ২০১৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে তার অনুপস্থিতিতেই তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত করা হয়। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, সালাহউদ্দিন স্বেচ্ছায় ভারত যাননি, তাকে ধরে নিয়ে সীমান্তে পার করে দেওয়া হয়েছে। এর পেছনে সরকারের হাত রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচারুকলার ভবনগুলো ঝুঁকিমুক্ত ও মেরামতযোগ্য : যাচাই কমিটি
পরবর্তী নিবন্ধরমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে থাকবে ৪০টি টিম