বড় বোনের অপহরণ মামলার পুনঃতদন্ত চান প্রিন্সেস লতিফা

| শুক্রবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৮:১১ পূর্বাহ্ণ

একুশ বছর আগে ক্যামব্রিজের একটি রাস্তা থেকে বড় বোন শামসাকে তুলে নেওয়ার ঘটনা পুনঃতদন্তে যুক্তরাজ্যের পুলিশকে অনুরোধ করেছেন দুবাইয়ের শাসকের মেয়ে প্রিন্সেস লতিফা। বিবিসি এ সংক্রান্ত লতিফার লেখা একটি চিঠি দেখার কথাও জানিয়েছে। চিঠিতে দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের এ মেয়ে ক্যামব্রিজশায়ারের পুলিশকে তার ৩৯ বছর বয়সী বোন শামসার অপহরণ মামলার পুনঃতদন্তে জোর দিতে বলেছেন। পুলিশের এ তৎপরতা শামসার মুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে, যাকে তার বাবার নির্দেশেই যুক্তরাজ্য থেকে তুলে নিয়ে প্রথমে ফ্রান্স ও পরে দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়, বলেছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের। শামসা ২০০০ সালের মাঝামাঝি সারের লংক্রসে অবস্থিত বাবার একটি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন, দুই মাস পর আগস্টে তিনি ক্যামব্রিজশায়ারে ধরা পড়েন। এরপর থেকে তাকে আর কখনোই জনসমক্ষে দেখা যায়নি। লতিফার চিঠি বিষয়ে দুবাই সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তারা তাতে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। লতিফার বন্ধুরা ক্যামব্রিজশায়ার পুলিশকে বুধবার হাতে লেখা ওই চিঠিটি পৌঁছে দেয়। ক্যামব্রিজশায়ারের পুলিশ পরে শামসার অপহরণ মামলা সম্পর্কিত একটি চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে। বিবিসি জানিয়েছে, চিঠি ২০১৯ সালে লিখলেও লতিফা এতে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির তারিখ বসান।
এর কিছু সময় পর তিনি নিজেও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন; যদিও বোনের মতোই পরিণতি হয় তার। আগের তারিখ লিখে দুবাইয়ের এ প্রিন্সেস বন্দি অবস্থায়ও যে তার সঙ্গে বন্ধুবান্ধবদের যোগযোগ আছে তা আড়াল করতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
৩৫ বছর বয়সী লতিফাকে নিয়েও আন্তর্জাতিক মহল বেশ উদ্বিগ্ন। নিজের স্নানকক্ষে ধারণ করা এক ভিডিওতে এ নারী তাকে অবরুদ্ধ ভিলায় আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। বিবিসি ওই ভিডিও বার্তাটি পেয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত গত সপ্তাহে জানিয়েছে, লতিফা পরিবারের কাছে যত্নেই আছেন। দুবাইয়ের শাসকের এ মেয়ে জীবিত আছে কিনা তার প্রমাণ দেখাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি যুক্তরাজ্য আহ্বান জানিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচেয়ারম্যান গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে বাঁশখালী ফুটবল একাডেমী সেমিফাইনালে
পরবর্তী নিবন্ধচীনে গ্রামীণ দারিদ্র্য দূরীকরণে পূর্ণ সফলতার দাবি শিয়ের