ব্যালটে ভোট, দলে আলোচনার পর মন্তব্য : তথ্যমন্ত্রী

| মঙ্গলবার , ৪ এপ্রিল, ২০২৩ at ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব আসনে ব্যালট পেপারে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের আছে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইভিএমের জন্য এক বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে অনেকের। গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।

ইভিএমের বদলে ব্যালটে ভোট করার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, আমরা দেশকে ডিজিটাল করতে পেরেছি। বহু নাগরিক সেবা ও সুবিধা এখন ডিজিটাল। তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। কী পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের আছে। আমি এই মাত্র আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম তারা ঘোষণা করেছে যে, ৩০০ আসনেই প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। এ নিয়ে আমাদের দল দলীয়ভাবে আলাপ আলোচনা করে জানাবে। তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন এবং স্বাধীনভাবেই যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।

ইভিএম কেনা আর মেরামতের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বাজেট চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের পরিস্থিতিতে এই এক বিলিয়ন ডলার খরচ করার যৌক্তিকতা আছে কি না সে নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছে।

আলোচনা সভায় চলচ্চিত্র শিল্পের অবস্থা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ মানুষ পরিবারপরিজন নিয়ে দেখতে পারে এমন সিনেমা বানানোর তাগিদ দেন। এসব সিনেমা যাতে বিনোদনের পাশাপাশি দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখে, মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে সেদিকে মনোযোগ দিতে বলেন। দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ১৯৫৭ সালের এই দিনে তৎকালীন তরুণ নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বিল উত্থাপন করেছিলেন। তিনি অনুধাবন করেছিলেন যে, সংস্কৃতির সমস্ত শাখার সন্নিবেশে যা সৃষ্টি হয়, সেটি হলো চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে গান থাকে, নৃত্য থাকে, চলচ্চিত্র সমস্ত শাখার সন্নিবেশ ঘটায়। জাতির পিতা এ সকল কিছু তখনই অনুধাবন করেছিলেন বলেই বিলটি উত্থাপন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এ জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিনেমা হল নির্মাণ এবং পুরনো হল সংস্কারের জন্য সহজ শর্তে ১ হাজার কোটি টাকার এক বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই দরখাস্ত করেছেন। ইতোমধ্যে অনেকে সিনেপ্লেক্স চালু করেছে এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলও চালু হয়েছে। দু’বছর করোনা মহামারীর বেড়াজালে আবদ্ধ না থাকলে আরো সিনেমা হল চালু হত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেয়র অনুমোদিত নথি কেটে অফলাইনে টেন্ডার
পরবর্তী নিবন্ধইভিএমে নয়, সব আসনে ব্যালটে ভোট