ব্যবসা বান্ধব নগরী গড়তে সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি

মেয়রের সাথে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২১ at ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীর জন্য অনেক কিছু দিয়েছেন এবং আরো দিতে চান। কিন্তু আমাদের মধ্যে চিন্তা ও কর্মের সমন্বয় না থাকায় চট্টগ্রামকে আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক ও যুগোপযোগী নগরী হিসেবে সাজাতে ব্যর্থ হচ্ছি। যারা চট্টগ্রামের ভাল চান এবং সুন্দর স্বপ্ন দেখেন তাদের পরামর্শ নিয়ে দল-মত নির্বিশেষে অভিন্ন প্লাটফর্ম তৈরি করে শিল্প ও ব্যবসা বান্ধব নগরী গড়তে চাই।
গতকাল চসিকের অস্থায়ী ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত পরিষদের কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম পাহাড়, নদী,সমুদ্র, সমতল বেষ্টিত এক অপরূপ সুন্দর নগরী। এ নগরী প্রাকৃতিক প্রাচুর্য্যে ভরপুর। শুধুমাত্র পর্যটন খাত থেকে বিশাল আয়ের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা অর্জিত হয়নি। এক সময় চট্টগ্রাম ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল প্রাণকেন্দ্র। এখন তা আর নেই। চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হলেও বাস্তবে এধরনের কোন অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা নেই। ‘নেই আর নেই’-এটা আমাদের চিন্তা-কর্মের সমন্বয়হীনতার নেতিবাচক প্রতিফলনের বিরূপ চিত্র। তিনি বলেন, সব সেক্টর ও ফ্যাক্টরকে এক জায়গায় এনে সম্মিলিত শক্তির সমন্বয় করা গেলে চট্টগ্রামকে আন্তর্জাতিক মানের নগরীতে পরিণত করা সম্ভব। ব্যবসা-বাণিজ্য,শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে এক জায়গায় আসতে হবে। তাই একা স্বপ্ন দেখলে চলবে না। স্বপ্ন পূরণে চিন্তা ও কর্মের সমন্বয়ের বিকল্প নেই। বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামে এক সময় পোশাক শিল্পের জৌলুস থাকলেও এখন নেই। আগে চট্টগ্রামে ৭০০ তৈরি পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকলেও এখন তা ২৪০টিতে নেমে এসেছে। বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি এম.এ সালাম বলেন, করোনা মোকাবেলায় এলাকা ভিত্তিক লকডাউন আসতে পারে। সেই ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্পকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখলে অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে। বিজিএমইএ’র প্রাক্তন সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, চট্টগ্রামের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ রক্ষায় মেয়রের নেতৃত্বে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি থাকা উচিত। এতে ব্যবসাখাত আরো গতিশীল হবে। প্রাক্তন পরিচালক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তুফান বলেন, বিজিএমইএ চসিকের বিশ্বস্ত পার্টনার। সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান করে দিতেন। বর্তমান মেয়রের কাছেও আমরা এমন ভূমিকা চাই।
এতে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. মোজাম্মেল হক, কাউন্সিলর নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, বিজিএমইএ সহ-সভাপতি রফিকুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, এএম শফিউল করিম খোকন, মোহাম্মদ হাসান জেকি, এম.এহসানুল হক, প্রাক্তন পরিচালক অঞ্জন শেখর দাস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগরিবদের মাঝে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ করলেন সিভিল সার্জন
পরবর্তী নিবন্ধজেলা শিল্পকলা একাডেমির বিশ্ব নৃত্যদিবস উদযাপন