ব্যক্তির হক নষ্ট করলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না

জি এম শাহাবুদ্দীন খান | সোমবার , ৮ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

চলছে রমজানের শেষ দশক, নাজাত প্রাপ্তির দশক, মহিমান্বিত লাইলাতুলকদর কদর পাওয়ার দশক। আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা প্রাপ্তির দশক। গভীর রাতে কেয়ামুল লাইল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহিমান্বিত কদরের রাতকে খোঁজার দশক। যে কদরের রাতে নাজিল হয়েছিল পবিত্র কোরআনুল করিম। মানুষ হিসেবে আমরা কেউই পাপমুক্ত নই। এক জীবনে কতইনা অপরাধ করেছি, একমাত্র মহান আল্লাহই আমাদের ক্ষমা করতে পারেন। তার ক্ষমা ছাড়া জাহান্নাম থেকে বাঁচার কোনও পথ নেই। নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাতএসবই আল্লাহর হক। বান্দা এগুলো পালন না করলে মহান রাব্বুল আলামিন চাইলে তার অসীম মহানুভবতা দিয়ে বান্দাকে ক্ষমাও করে দিতে পারেন। কিন্তু কোনও ব্যক্তির হক নষ্ট করলে, জুলুম করলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না, যতক্ষণ না সেই ব্যক্তি ক্ষমা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির হক আদায় না করে, আপনার দ্বারা জুলুমের শিকার ঐ ব্যক্তির নিকট ক্ষমা না চেয়ে সিজদায় গিয়ে জান্নাত খোঁজা বৃথা। হক নষ্টকারী, জুলুমকারীর কোনও ইবাদত এ রাতে মহান আল্লাহ কবুল করবেন না। আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। সময় হলে ঠিকই পাকড়াও করবেন। তাই আসুন, পবিত্র মাহে রমজানের শেষ দশকে নাজাত প্রাপ্তির আসায় নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করি, গত জীবনে কারোর ওপর জুলুম করেছি কিনা, কারোর হক নষ্ট করেছি কিনা। যদি করে থাকি তার জন্য ঐ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির হক আদায় করে, জুলুমের জন্য তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে মহান রাব্বুল আলামিনের সামনে উপস্থাপন করে পাপমুক্ত হই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঈদের দিনের শিক্ষা
পরবর্তী নিবন্ধঈদুল ফিতর উৎসব