বোতলজাত সয়াবিন তেল মজুদ করে ড্রামে ঢেলে বিক্রির দায়ে নগরীর ছোটপুল এলাকার বিসমিল্লাহ স্টোর নামের দোকানের মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চলা এ অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ।
তিনি বলেন, বিসমিল্লাহ স্টোর ৭৬০ টাকা মূল্যের পাঁচ লিটার বোতলের তেল ড্রামে ঢেলে বিক্রি করছে ৯৪০ থেকে ৯৬০ টাকায়। বোতলজাত তেল বাড়তি দামে বিক্রির চেষ্টা করলে ভোক্তারা প্রতিবাদ করেন। সেজন্য বোতল থেকে নিয়ে সেগুলো খোলা আকারে বিক্রি করা হচ্ছিল। এতে দামও বাড়তি পাওয়া যাচ্ছে, ওজনেও গরমিল করা যাচ্ছে। প্রায় ৫০০ লিটার বোতলজাত তেল খুলে তারা ড্রামে নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এ ছাড়া ওই দোকানের দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে দেড় হাজার লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার নগরীর কর্নেল হাট এলাকায় পুরনো দামে কেনা খোলা সয়াবিন মজুদ রেখে বেশি দামে বিক্রির দায়ে দুই দোকানিকে ৮০ হাজার জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া গত সোমবার নগরীর পাহাড়তলী বাজারে অভিযান চালিয়ে সিরাজ স্টোর নামের একটি দোকানের তিনটি গোডাউন থেকে ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় দোকানের মালিক সিরাজুল হককে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগের দিন রোববার নগরীর ২নং গেটের কর্ণফুলী মার্কেটের মেসার্স খাজা স্টোর নামের দোকানের নিচে সুড়ঙ্গে মজুদ করা ১ হাজার ৫০ লিটার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় দোকানের মালিক আবদুল হালিমকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে উদ্ধারকৃত এসব সয়াবিন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়।
এছাড়া গত শনিবার রাতে ফটিকছড়ির বাগান বাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ গজারিয়া গ্রামের মুদি দোকানি আকতার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩২৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত এসব তেল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য জসিম উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে বিক্রি করা হয়।
