বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে কর্মবিরতি চিকিৎসকের চেম্বারও বন্ধ ছিল

সেবা বন্ধে রোগীদের দুর্ভোগ দুই চিকিৎসকের ওপর হামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের সব বেসরকারি হাসপাতালক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্যক্তিগত চেম্বারে গতকাল সকাল ৬টা থেকে সেবা বন্ধ রেখে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। সেবা বন্ধ রাখার কারণে অনেক রোগী বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসে বিপাকে পড়েন। এছাড়া পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকার পরও অনেকে চিকিৎসককে দেখাতে পারেননি। চিকিৎসকরা বলছেন, আজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সকল প্রকার ব্যক্তিগত চেম্বার, হাসপাতালক্লিনিকে নতুন রোগী ভর্তি, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নতুন রোগীর সেবা বন্ধ থাকবে। তবে পুরনো ভর্তি রোগীর চিকিৎসাসেবা চলবে।

বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী বলেন, চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমএম চট্টগ্রাম শাখা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ চট্টগ্রাম শাখা, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমিতি চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতি চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজকের (গতকাল) এই কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে আমাদের চিকিৎসকরা কিন্তু সেবা দিচ্ছেন। আমাদের এই কর্মবিরতি কেবল বেসরকারি হাসপাতালক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট চেম্বারের জন্য। পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে ডা. রক্তিম দাশের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং নগরীর মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ডা. রিয়াজউদ্দিন শিবলুর ওপর হামলায় জড়িত মূল আসামিসহ জামিনপ্রাপ্তদের জামিন বাতিল ও অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে আমরা ২৪ ঘণ্টার এই কর্মসূচি পালন করছি।

বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ শরীফ বলেন, কর্মবিরতির কারণে রোগীদের দুর্ভোগের বিষয়টি অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে আমরা কিন্তু সময় দিয়েছি। ঘটনার পর পর এই ধরনের কর্মসূচি দিইনি। এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আপনারা দেখেছেন, মেডিকেল সেন্টারে ডা. শিবলুকে যেভাবে পিটানো হয়েছে, চাকর বাকরকেও এভাবে পিটানো হয় না। এর আগে পটিয়ায় ডা. রক্তিমের ওপর হামলা হলো। এখন মেডিকেল সেন্টারের ঘটনায় আসামিদের জামিন হয়ে গেল। এছাড়া পটিয়ার ঘটনায় প্রশাসন এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এখানে আবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ইন্ধন রয়েছে। তারা প্রশাসনকে প্রভাবিত করছে। আমরা একটি ম্যাসেজ দিতে চাই, চিকিৎসকের ওপর হামলা হলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমাদের একটাই দাবি, কর্মস্থলে চিকিৎসকদের সুরক্ষা করতে হবে। এছাড়া চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

গত ১১ এপ্রিল পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রক্তিম দাশের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর ১৪ এপ্রিল সকালে নগরীর মেডিকেল সেন্টারে হামলার শিকার হন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন শিবলু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ৪০ প্রজাতির মাছ প্রসেস করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়
পরবর্তী নিবন্ধওমান বাংলাদেশ দূতাবাসের জাতীয় দিবস উদযাপন