বৃষ্টির জন্য জনদুর্ভোগ

মীনহার সুলতানা নিকা | বৃহস্পতিবার , ৮ জুলাই, ২০২১ at ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ

আদর্শ শহরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য যানজট মুক্ত রাস্তাঘাট। বর্তমানে শহরে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও পরিবহনের আধিক্যের কারণে তৈরি হয়েছে যানজট। এই যানজট প্রতিরোধ করার জন্য তৈরি করা হয় ফ্লাইওভার। চট্টগ্রাম নগরের সিডিএ এ্যাভেন্যুর লালখান বাজার মোড় থেকে নতুন ব্রিজের এক কিলোমিটার পর্যন্ত “আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার” টি চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগ। এই ফ্লাইওভার দিয়ে দৈনিক শত শত যানবাহন চলাচল করে। এ কারণে সড়কে ট্রাফিক জ্যাম যেমন কমেছে, তেমনি সময়েরও সাশ্রয় হয়েছে। তবে ফ্লাইওভারের নিচে দিয়ে মূল সড়ক ব্যবহারকারী সাধারণ মানুষ, উন্মুক্ত ও ক্ষুদ্র যানবাহন বর্ষাকালে নিদারুণ কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন। তিন কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিমুখী এই ফ্লাইওভারে বর্ষার বৃষ্টির পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। জমা পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায়, উপর থেকে পানি পড়ে নিচের পথচারী, রিকশা, অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি, ভ্যামগাড়ি ও জানালার পাশে বসে থাকা বাস যাত্রীরা ভিজে একাকার হয়ে যায়। সেদিন প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল, বৃষ্টি থেমে প্রায় আধাঘণ্টা পর ফ্লাইওভারের উপরে জমে থাকা বৃষ্টির পানি উপর থেকে ঝপাৎ করে পড়ে, ষোলশহর ২ নং গেইট থেকে বহদ্দারহাট যাওয়ার পথে আমিও আমার রিকশা চালক দু’জনেই ভিজে একাকার হয়ে গিয়েছিলাম। আমার সাথে কিছু মূল্যবান কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের রিকশার পেছনে থাকা আরো দু’জন রিকশা যাত্রীরও একই অবস্থা হতে দেখলাম। আমার রিকশাচালক বললেন, বর্ষার সময় ফ্লাইওভারের নিচে এটা নিত্যকার ঘটনা। ঘটনাটি জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছবি না তুলে সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন
পরবর্তী নিবন্ধশিশুদের নিয়ে