জীব জগতের অস্তিত্ব রক্ষায় অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গাছপালা। বৃক্ষ ও বনভূমি বায়ুমণ্ডলকে বিশুদ্ধ ও শীতল রাখতে সাহায্য করে। ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’- এই প্রবাদটির যেন বিপরীত বিষয়টি বর্তমানে ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের চারদিকে বৃক্ষ নিধনের যেন পালাক্রম চলছে একের পর এক বৃক্ষ কেটে। বৃক্ষ ও বনভূমি ধ্বংস করে গড়ে উঠছে ঘরবাড়ি, বড় বড় কারখানা। থামছে না বৃক্ষ নিধন। এই বৃক্ষ নিধনের জন্য জনসংখ্যার চাপকে দায়ী করা হলেও নেই কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ। একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় যেখানে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত সেখানে সরকারি তথ্য মতে বাংলাদেশে আছে ১৭ শতাংশ।
‘একটি গাছ কাটলে, সেখানে দুটো গাছ লাগান’ এই স্লোগানের নেই কোনো বাস্তবিক কার্যকারিতা বাংলাদেশে। বরং তিনটি গাছ কাটলে সেখানে লাগানো হচ্ছে একটি গাছ। অনেক সময় জায়গা স্বল্পতার কারণে লাগানোও হয় না নতুন গাছ। সাম্প্রতিক সময়ে শহর অঞ্চলের মত গ্রামাঞ্চলে চলছে ব্যাপকহারে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ঘটনা। রেহাই পাচ্ছে না সরকারি প্রতিষ্ঠান ও রাস্তার ধারে গাছপালাগুলোও। এই বৃক্ষ নিধনের কারণে বাংলাদেশের জলবায়ু ও আবহাওয়ার সূচি পরিবর্তন হচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা, খরা, ঘন ঘন বন্যা, বৃষ্টিপাত।
ভবিষ্যতে হয়তো এই বৃক্ষ নিধনের ফলাফল আরো মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। তাই এই মারাত্মক রূপের খেসারত দেওয়ার আগে সরকারের উচিত বৃক্ষ নিধন নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং সেই সাথে জনগণেরও সচেতন হওয়ার পাশাপাশি উচিত গাছকে ভালোবাসা।
আয়েশা সিদ্দিকা
শিক্ষার্থী,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।