বুদ্ধ পূর্ণিমার জয়গান

দুলাল বড়ুয়া | রবিবার , ১৫ মে, ২০২২ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

মহাকারুণিক তথাগত বুদ্ধ,
জন্মেছিলেন রাজ পরিবারে।
সকল মোহ-মায়া দিয়ে বিসর্জন,
বেরিয়ে পড়েছিলেন মানব কল্যাণের তরে।

রাজ সিংহাসন-রাজ প্রাসাদ-বিত্ত বৈভব,
সুন্দরী স্ত্রী যশোধরা, পুত্র রাহুলের মায়া।
রাজপুত্রের অসীম ক্ষমতা,
ফেলতে পারেনি প্রভাব এ সকল মায়ার ছায়া।

ছয় বছর কঠোর সাধনার পর,
বোধিমূলে লাভ করেন বুদ্ধত্ব বা বোধিজ্ঞান।
আত্মস্থ করেন দুঃখ থেকে মুক্তির উপায়,
চিরতরে দুঃখমুক্তির সোপান ‘নির্বাণ’।

দুঃখ আছে, দুঃখ নিরোধের উপায়ও আছে;
জগতের সকল প্রাণীর সুখ কামনা।
চারি আর্যসত্য, আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ ও নির্বাণ লাভ;
মহামতি বুদ্ধ প্রচারিত বৌদ্ধ ধর্মের মূল আরাধনা।

সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে শান্তির বাণী,
পঁয়তাল্লিশ বছর ধর্ম প্রচার শেষে।
মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন,
মহামানব বুদ্ধ আশি বছর বয়সে।

লুম্বিনীতে জন্ম নিয়ে সিদ্ধার্থ গৌতম,
বুদ্ধগয়ায় বুদ্ধত্বলাভ করে হন বুদ্ধ ভগবান।
শীল পালন সহ মৈত্রীর শিক্ষা দিয়ে,
কুশীনগরে লাভ করেন মহাপরিনির্বাণ।

ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত বুদ্ধ পূর্ণিমারই মহাপবিত্র দিনে,
বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ।
সংঘটিত হয় এ তিনটি অবিস্মরণীয় শুভ ঘটনা,
তাইতো সবাই গায় শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার জয়গান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকটি শুভ দিন
পরবর্তী নিবন্ধতাৎপর্যময় মহান বুদ্ধ পূর্ণিমা