চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী প্রতি বছর এক কোটি টাকা নগরীর বিশেষ শিশুদের জন্য কর্পোরেশন তহবিল হতে বরাদ্দ রাখার কথা উল্লেখ করে বলেন, নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে বিশেষ শিশুদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে তাদেরকে সম্পদে পরিণত করতে হবে। অটিজম শিশুরা সমাজের বোঝা নয়, তারা আমাদের সম্পদ। তাদের সেবা ও সঠিক পরিচর্যার মাধ্যেমে সুস্থ করে তুলতে হবে। তিনি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের অটিজম শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। গতকাল শনিবার নগরীর থিয়েটার ইনষ্টিটিউট হলে অটিজম শিশুর কল্যাণে প্রস্তাবিত ‘মায়া কানন’ ইনক্লুসিভ হোম প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরীর সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক টিংকু চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় উদ্বোধক ছিলেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সূফী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এনডিডি ট্রাষ্ট চেয়ারম্যান প্রফেসর গোলাম রব্বানী, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক মাহফুজা আকতার, সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক শেখ নাজিমুল ইসলাম এবং অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশন উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম রিংকু, সদস্য সচিব সাংবাদিক এম নাসিরুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ। বক্তব্য রাখেন খোরশেদুল আলম কাদেরী, প্রফেসর ড. সুদীপ পাল, এটি এম কামরুদ্দীন চৌধুরী তাহের, সুব্রত বিকাশ চৌধুরী প্রমুখ।
আলহাজ্ব সূফী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশেষ শিশুরা আল্লাহর নিয়ামত, সমাজে অবহেলিত এই বিশেষ শিশুদের জন্য কাজ করতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার। আমাদের উচিৎ আন্তরিকভাবে তাদের জন্য কাজ করে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য অর্জন করা। শুরুতে নিষ্পাপ অটিজম স্কুল ও ড. আর পি সেনগুপ্ত নিষ্পাপ সমন্বিত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে সিটি মেয়র প্রতিমন্ত্রীর পদ মর্যাদা অর্জন করায় এবং আলহাজ্ব সূফী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান একুশে পদক অর্জন করায় নিষ্পাপ পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষ শিশুদের আঁকা ছবি ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
