বিলাসবহুল ৭৮ গাড়ির নিলামে জমা ৩৭৪ দরপত্র

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা বিলাসবহুল ৭৮টি গাড়ির নিলামে ৩৭৪টি দরপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ৩৬০ ও ই-অকশনে (অনলাইন নিলাম) জমা পড়েছে ১৪টি দরপত্র। গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম কাস্টমসে দরপত্রের বক্স খোলার পর এই তথ্য জানান চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার উপ-কমিশনার সন্তোষ সরেন। নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ই-অকশন ও ম্যানুয়াল পদ্ধতির নিলামে বিডাররা (অংশগ্রহণকারী) কাস্টমসের স্থাপিত বঙে দরপত্র জমা দেন। বিলাসবহুল ৭৮ গাড়ির মধ্যে রয়েছে জার্মানি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তৈরি বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেঙাস, মিটসুবিশি ও টয়োটা ব্র্যান্ডের গাড়ি।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার সন্তোষ সরেন আজাদীকে বলেন, এবারের নিলামে অনলাইনে দরপত্র জমা পড়েছে ১৪টি। এছাড়া ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম কাস্টমসে স্থাপিত দরপত্রের বঙে ২৭৫টি, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের বঙে ৩৩টি এবং ঢাকায় স্থাপিত দরপত্রের বঙে ৫২টি দরপত্র জমা পড়ে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, কার্নেট সুবিধার গাড়িগুলো প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকা পড়ে আছে। ইনভেন্ট্রি করে ২০১৬ সালের আগস্টে ৮৫টি, ২০১৭ সালের মে মাসে ১১৩টি, ২০১৮ সালের মে মাসে ১১১টি গাড়ি এবং ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল চতুর্থবারের মতো ২২টি গাড়ি নিলামে তোলা হয়। কিন্তু প্রতিবারই দামে অসামঞ্জস্য থাকায় দরদাতাদের কাছে গাড়ি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। পরে ২০২১ সালের ৩ ও ৪ নভেম্বর ই-অকশন ও ম্যানুয়াল নিলামে ১১২টি গাড়ি নিলামে তোলা হয়। এর মধ্যে ১১০টি গাড়িতে দরপত্র জমা দেন বিডাররা। জমা দেয়া দরপত্র ও অন্যান্য শর্ত যাচাই করে মাত্র ৩টি গাড়ি বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া চলতি বছরের ১২ ও ১৩ জুন অনলাইন ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ১০৮টি গাড়ি নিলাম তোলা হয়। সেই নিলামে মোট ৫৬৭ জন বিডার অংশ নেন। পরে ২৭ জুন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম কমিটি দরপত্রে উল্লেখ করা দর এবং আগের নিলামের দর বিবেচনায় নিয়ে ৩৪টি গাড়ির নিলাম অনুমোদন করে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কার্নেট সুবিধায় গাড়ি আমদানির সুবিধা দেয়া হয়। তবে নির্দিষ্ট সময় পর আবার সেগুলো ফিরিয়ে নিতে হয়। বাংলাদেশে যারা শুল্কমুক্ত সুবিধা ব্যবহার করে এসব গাড়ি এনেছেন তাদের বেশিরভাগই প্রবাসী বাংলাদেশি, যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের অনেকেই এসব গাড়ি কার্নেট সুবিধায় এনে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব গাড়ি আমদানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হলে আমদানিকারকরা গাড়িগুলো খালাস করেননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজাদীর সংবর্ধনায় সিক্ত পাঁচ ফুটবলকন্যা
পরবর্তী নিবন্ধছায়াপথের কঙ্কাল দেখাল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ