বিরল ইউএফও মেঘে দৃষ্টিবিভ্রম

| রবিবার , ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

বিরল একটি মেঘের গঠন তৈরি হলো তুরস্কের আকাশে, যা তৈরি করেছিল দৃষ্টিবিভ্রম। অনেকের কাছে এটা লাগছিল ইউএফওর (আনআইডেন্টিফাইড ফ্লায়িং অবজেক্ট) মতো। বৃহস্পতিবার সকালে তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বুরসা থেকে এটি দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অনেক মানুষ মেঘের বিস্ময়কর এ গঠন দেখতে জড়ো হয়েছিলেন, অনেকেই ছবি তুলেছেন ভিডিও করেছেন আর সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন, পাশাপাশি এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লেন্টিকুলার মেঘ নামে পরিচিত প্রায় বৃত্তকার মেঘের ঢেউয়ের মতো এ গঠনটি সূর্যোদয়ের সময় দেখা যেতে থাকে। প্রায় এক ঘণ্টার মতো আকাশে ছিল, এর মাঝখানে বড় একটি গর্তও ছিল। বায়ুমণ্ডল আর্দ্র হওয়ায় এই ধরনের মেঘ দেখা যাওয়ার পরদিন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে।

দেখতে অদ্ভুত বুরসার এই মেঘের ছবি ও ভিডিও বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছে। শত শত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী মেঘটি দেখতে ‘ইউএফও’র মতো বলে মন্তব্য করেছেন। তুরস্কের আবহাওয়া পরিষেবা বিরল এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে শুধু একটি ‘লেন্টিকুলার মেঘ’ বলে বর্ণনা করেছে।

এ ধরনের মেঘের গঠন সাধারণত পার্বত্য এলাকাগুলোতে দেখা যায়। মারমারা সাগরের নিকটবর্তী শহর বুরসা প্রায় আড়াই হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত উলুদাগের পাদদেশে অবস্থিত। তাই এখানে এ মেঘ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা সবসময়ই ছিল। লেন্সসদৃশ এ মেঘকে কখনো কখনো ইউএফও মেঘও বলা হয়।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পার্বত্য এলাকায় বায়ুপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে অনেক সময় একই স্থানে পাক খেতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে বায়ুর অংশবিশেষ উপরের দিকে উঠে গিয়ে শীতল হয় ও এ ধরনের মেঘের গঠন তৈরি করে।

দেখে মনে হয়, মেঘটি স্থির; কিন্তু আসলে এর মধ্য দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হতে থাকে। বাতাস আবার পড়ে গেলে এটি উষ্ণ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে। এতে মেঘের ঘনীভূত অবস্থা আর থাকে না। ফলে এটি আর দেখা যায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্রিস হিপকিন্স হচ্ছেন নিউ জিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধআলোয় ঢেকে যাচ্ছে রাতের আকাশের তারা