দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর বিপিএল। বলা যায় এটি হলো পাইপলাইনে থাকা ক্রিকেটার পরীক্ষার সর্বশেষ স্তর। এই স্তারে যারা যোগ্যতার সাক্ষ্য রাখতে সক্ষম হবে তারা সরাসরি সুযোগ পাবে দেশের জাতীয় দলে। গুনে গুনে অষ্টম আসর শেষ করে নবম আসর চলছে বিপিএলের। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে প্রায় দীর্ঘ ১ যুগের ক্যারিয়ারে আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে কতটা আধুনিক হলো বিপিএল?
পাশের দেশ ভারতের আইপিএলকে নিয়ে বাংলাদেশে যে উত্তেজনা দেখা যায় তার ১ শতাংশও বিপিএল নিয়ে নেই। চট্টগ্রামে বিপিএলের প্রথমদিন শুক্রবার মাঠে এসেছিলেন ৮–১০ হাজার দর্শক। কমতে কমতে এখন তা তিন থেকে চার হাজার।
তার মানে দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিপিএল থেকে। এর পেছনে কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে। প্রধানত তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে বিশ্ব ক্রিকেটে বইছে উন্নতির হাওয়া। পাশের দেশ ভারত সহ বিশ্বের সকল বড় বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সেই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে নিজেদের নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডের তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান দেখে প্রশ্ন জাগে দেশের ক্রিকেট কি আধো ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রশ্ন উঠে অর্থের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে তো! নাকি অধিক অর্থ অনর্থের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিষয় গুলোতে সুনজর দিবে। আর বিষয়গুলো খুব জটিল কিছু নয়। সামান্য সুনজর আর আন্তরিকতা থাকলে সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব। আর তাহলে একদিন বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেট রাজত্ব করতে পারবে।
মোহাম্মদ নাদের হোসেন ভূঁইয়া
শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা বিভাগ,
ফেনী সরকারি কলেজ