বিদ্রোহীরা অনড়

অনেক ইউনিয়নে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায়

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনড় অবস্থানে রয়েছেন দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীরা। অনেক ক্ষেত্রে দলীয় দুর্বল প্রার্থীর কারণে জয়ও পেয়ে যাচ্ছেন বিদ্রোহীরা। গতবার দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত অনেক চেয়ারম্যান এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করছেন। অনেক বিদ্রোহী প্রার্থীর এলাকায় শক্ত অবস্থান থাকায় তারা অনড় অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা-বোয়ালখালী ও চন্দনাইশের বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের অদমনীয় মনোভাবের কারণে বেকায়দায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকার দলীয় প্রার্থীরা।
প্রথম ধাপ থেকে গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপ পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় কম-বেশি বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে কর্ণফুলী, পটিয়া ও লোহাগাড়া ইউপি নির্বাচনে ৬জন বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে পটিয়ায় ৪জন, কর্ণফুলীতে ১ জন এবং লোহাগাড়ায় ১ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বোয়ালখালী এবং চন্দনাইশে ২৪ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই ২৪ ইউনিয়নে ২০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে কর্ণফুলী, পটিয়া ও লোহাগাড়ার ২৭ ইউপিতে ২২ জন বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কারের সিদ্ধান্তেও অনড় বিভিন্ন ইউপির
বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
এই ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান আজাদীকে জানান, বিদ্রোহীদের ব্যাপারে আমাদের দলের
অবস্থান খুবই কঠোর। বিদ্রোহীদের আমরা ছাড় দিচ্ছিনা। এর মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যেসব ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে এবং হবে সেখানে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যারা নির্বাচন করেছেন তাদেরকে আমরা প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করেছি। চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। সমানে ৫ জানুয়ারি যেসব ইউনিয়নে নির্বাচন হবে-সেখানেও যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য আমরা কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠাবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাপে পড়ে মিথ্যা সাক্ষ্য
পরবর্তী নিবন্ধবর্জ্য অপসারণ যাচ্ছে বেসরকারি খাতে