চাপে পড়ে মিথ্যা সাক্ষ্য

বললেন কক্সবাজারে ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী

| মঙ্গলবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের আলোচিত ধর্ষণের মামলার বাদী বলেছেন, একটি উড়োচিঠি পেয়ে ভয়ে তিনি তার স্ত্রীকে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলেছিলেন। ধর্ষণের ঘটনার পর স্ত্রী-সন্তানসহ কক্সবাজারে চার দিন পুলিশি হেফাজতে থাকার পর ঢাকায় ফিরে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার এই দম্পতি গত বুধবার তাদের আট মাসের শিশুকে নিয়ে কঙবাজারে অবস্থান করছিলেন। তখন স্বামী ও শিশুকে জিম্মি করে স্ত্রীকে (২৫) তুলে নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। খবর পেয়ে মধ্যরাতে র‌্যাব গিয়ে ওই নারীকে স্থানীয় একটি গেস্ট হাউজ থেকে উদ্ধার করে। আরেকটি স্থান থেকে উদ্ধার করে তার স্বামী ও সন্তানকে। তারপর ওই নারীর স্বামী মামলা করলে সেদিনই ওই নারী কঙবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হামীমুন তাজনীনের আদালতে জবানবন্দি দেন। তখন থেকে ট্যুরিস্ট পুলিশের হেফাজতে ছিলেন তারা।
গত রোববার রাতে ঢাকায় ফেরার পর ওই নারীর স্বামী বিভিন্ন সাংবাদিককে বলেন, ‘চাপে পড়ে’ তার স্ত্রী আদালতে ‘মিথ্যা’ জবানবন্দি দিয়েছেন। কীসের চাপ জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি গতকাল সোমবার রাতে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কঙবাজার থানার সামনে কয়েকজন তার হাতে একটি উড়োচিঠি ধরিয়ে দিয়ে যায়। চিঠিতে লেখা ছিল, আমরা যদি আদালতে মিথ্যা না বলি, তাহলে আমরা কেউ কঙবাজার থেকে বাসায় ফিরতে পারব না।
চিঠিতে হুমকির খবর পুলিশকে জানাতেও ভরসা পাননি জানিয়ে এই ব্যক্তি বলেন, পুলিশ হেফাজতে তাদের সময় ‘ভালো কাটেনি’। সদর থানায় যে একদিন ছিলাম, সেসময় আমাদের সাথে খুব খারাপ আচরণ করা হয়। রাত ১২টার সময় আমার বাচ্চারে নিয়া ফ্লোরের ঠাণ্ডার মধ্যে বইসা ছিলাম। সেই সময় থানার পুলিশদের সমস্যার কথা বললে তারা বলছিল, কষ্টের এখনও দেখছস কী? কষ্টের হপায় শুরু। যেখানে পুলিশ এই ধরনের কথা বলে, সেখানেই কি বুঝা যায় না, আমাদের সাথে সামনে কী হইতে পারে?
আদালতে জবানবন্দিতে তিনি কী বলেছেন, তা জানা যায়নি। তবে ধর্ষণের মূল অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, সেই আশিকুল ইসলাম ওই নারীর পূর্ব পরিচিত বলে দাবি করছে কঙবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ।
তিনি বলেন, আমার বাচ্চা অসুস্থ, এইটা ঠিক। কিন্তু আমি বাচ্চার চিকিৎসার টাকার জন্য সেখানে যাই নাই। আমি সেখানে আমার ব্যবসার কাজে গেছি।
কী ব্যবসার কাজে গিয়েছিলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ব্যাপারে আমি পরে মিডিয়ার সাথে কথা বলবো। তখনই সবাই জানতে পারবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২০ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার
পরবর্তী নিবন্ধবিদ্রোহীরা অনড়