বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনলে ভরিতে কর ৪ হাজার টাকা

| শুক্রবার , ২ জুন, ২০২৩ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার আনলে আগের চেয়ে দ্বিগুণ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৩২৪ বাজেটে। আগে এক ভরি স্বর্ণের জন্য দুই হাজার টাকা কর দিতে হতো, সেখানে এখন তা বাড়িয়ে চার হাজার টাকা করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বর্ণের পরিমাণও কমানো হয়েছে। এতদিন সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম বা ২০ দশমিক শূন্য ৬ ভরি পর্যন্ত স্বর্ণ আনা যেত, যা কমিয়ে ১১৭ গ্রাম বা ১০ দশমিক শূন্য ৩ ভরি করা হচ্ছে। খবর বাংলানিউজের।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩ এর উপবিধি (১০) মোতাবেক একজন যাত্রী বিদেশ থেকে আসার সময় ২৩৪ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিণ্ড সকল প্রকার শুল্ককর পরিশোধ সাপেক্ষে আমদানি করতে পারেন। দেশে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে ওই স্বর্ণের পরিমাণ ২৩৪ গ্রামের পরিবর্তে ১১৭ গ্রাম করার প্রস্তাব করছি। একইসঙ্গে এর বেশি অতিরিক্ত স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিণ্ড বহন করলে শাস্তির বিধান সুস্পষ্ট না থাকায় তা বাজেয়াপ্তকরণের লক্ষ্যে বিদ্যমান ব্যাগেজ বিধিমালা সংশোধন করার প্রস্তাব করছি।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় একজন যাত্রী বিদেশ থেকে আসার সময় স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিণ্ড আনার ক্ষেত্রে প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামের (এক ভরি) জন্য সর্বমোট দুই হাজার টাকা শুল্ককর পরিশোধ করেন। আগামী ২০২৩২৪ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম স্বর্ণের জন্য চার হাজার টাকা শুল্ককর পরিশোধের বিধান করার প্রস্তাব করছি।

বিদেশফেরত যাত্রীদের মধ্যে স্বর্ণ আনার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। এভাবে ২০২২ সালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রায় ৫৪ টন স্বর্ণ এসেছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর পরিমাণের দিক থেকে তা আগের বছর ২০২১ সালের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি। যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় বিমানযাত্রীরা বৈধ পথেই এসব স্বর্ণ এনেছেন। তবে স্বর্ণ আনার এই বাড়তি প্রবণতা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আসার ওপর প্রভাব ফেলছে। সেজন্যই স্বর্ণ আনার ওপর কর বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রস্তাবিত বাজেট টেকসই উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর তৈরি করে দেবে
পরবর্তী নিবন্ধএত বড় ঘাটতি বাজেটে স্বপ্নপূরণ সম্ভব নয় : ডা. শাহাদাত