বিচারিক ক্ষমতা হারালেন কামরুন্নাহার

| মঙ্গলবার , ২৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলায় এখতিয়ার বহির্ভূত পর্যবেক্ষণ দিয়ে সমালোচিত ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গতকাল সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। খবর বিডিনিউজের।
প্রধান বিচারপতি এর আগে কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা সাময়কিভাবে প্রত্যাহার করার পাশাপাশি তাকে আর আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালত থেকে প্রত্যাহার করে তাকে পাঠানো হয়েছিল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে। তখন জানা যায়, স্থগিতাদেশ থাকার পরও অন্য এক ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে জামিন দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আপিল বিভাগ তাকে গত বছর তলব করেছিল। কোন এখতিয়ার বা ক্ষমতাবলে ওই আসামিকে তিনি জামিন দিয়েছিলেন, সে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কাছে।
গত ১৫ নভেম্বর কামরুন্নাহারের বিষয়টি আপিল বিভাগে ওঠে। সোমবার ফের আদেশের জন্য রাখা হয় মামলাটি। এদিন আদালত বসার আগেই ফাইল নিয়ে আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচারকক্ষে হাজির হন কামরুন্নাহার। বেলা সোয়া ১১টার দিকে আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল কার্যক্রম চলতে দেখা যায়। পরে বিকালে কামরুন্নাহারের বিষয়ে আদেশের কথা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র।
ঢাকার বনানীর রেইনট্রি হোটেলে চার বছর আগে দুই তরুণীকে ধর্ষণের আলোচিত মামলার রায় আসে গত ১১ নভেম্বর। বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার ওই রায়ে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দেন। তার সঙ্গে ধর্ষণ প্রমাণে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফরেনসিক পরীক্ষা করার বাধ্যবাধকতার যুক্তি দিয়ে ওই সময়ের পর মামলা না নিতে মৌখিক পর্যবেক্ষণ দেন তিনি। তার ওই পর্যবেক্ষণকে সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক হিসেবে বর্ণনা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচকরিয়ার ১০ ইউপির ৭টিতে বিদ্রোহী প্রার্থী
পরবর্তী নিবন্ধফিল্মি কায়দায় ছিনতাইকারী ধরলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট