বিএনপির রোডমার্চ আগামীকাল ৫ অক্টোবর। রোডমার্চ ঘিরে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের পাল্টা কোনো কর্মসূচি নেই। বাধাও দেবে না। তবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাস্তায় নামবেন। এজন্য মহানগর আওয়ামী লীগ দারুল ফজল মার্কেট দলীয় কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেবে। পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিটের নেতাকর্মীদেরও সতর্ক থাকার জন্য গতকাল মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন নির্দেশনা দিয়েছেন।
সভায় অক্টোবর মাসব্যাপী বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে সক্রিয় থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ৮ দিনব্যাপী নগরীর ৬টি স্পটে সমাবেশ ও র্যালি করবে মহানগর আওয়ামী লীগ। সভায় অপর এক সিদ্ধান্তে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩টি সংসদীয় আসন এবং মহানগরীর সাথে সংশ্লিষ্ট আরো ২টিসহ মোট ৫টি সংসদীয় আসনে তৃণমূলের সাথে সম্পৃক্ত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য একটি প্রার্থী তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানোর ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন।
নগরীর যে ৬টি স্পটে মহানগর আওয়ামী লীগ সমাবেশ ও র্যালি করবে স্পটগুলো হলো দারুল ফজল মার্কেট, অলংকার–সাগরিকা মোড়, ইপিজেড, আগ্রাবাদ বাদামতলী, অঙিজেন মোড় ও বহদ্দারহাট মোড়।
এ ব্যাপারে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপি রোডমার্চ কর্মসূচি দিয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করুক, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমাদের কোনো পাল্টা কর্মসূচিও নেই। কিন্তু বিএনপির অতীত ইতিহাস বলে, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধন করাসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তাই ঐদিন আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ড–ইউনিটের নেতাকর্মীদের সর্তক থাকার জন্য বলেছি। যদি তারা (বিএনপি) কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে সাথে সাথে জনগণের জানমালের রক্ষার্থে আমাদের নেতাকর্মীরা যাতে রাস্তায় নামতে পারে।
তিনি বলেন, বিএনপি–জামাত জোট কথিত সরকার পতনের লক্ষ্য নিয়ে লংমার্চ করবে। যদি এক্ষেত্রে কোনো সহিংসতা হয় অথবা অরাজকতা সৃষ্টি হয় তাহলে রাজপথে থেকেই আমরা ওদের মোকাবেলা করবো। এছাড়াও আমরা পুরো অক্টোবর মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করবো। প্রাথমিকভাবে ৮ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৮ দিনব্যাপী সাংগঠনিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। নগরীর ৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে আমরা সমাবেশ ও র্যালি করবো।
গতকাল বিকালে দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে যে অশুভ শক্তি গ্রাস করতে অপতৎপরতা শুরু হয়েছে, এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের মধ্যে কোনো রকম ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ না রেখে অশুভ শক্তি মোকাবেলায় রাজপথে থাকতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জি. মানস রক্ষিত, উপপ্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, জাফর আলম চৌধুরী, ড. নেছার উদ্দিন আহমেদ মনজু, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমদ, মোরশেদ আকতার চৌধুরী প্রমুখ।