প্রবৃদ্ধি গত বছরের চেয়ে বেশি, তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম

চট্টগ্রাম কাস্টমসে অর্থবছরের প্রথম তিন মাস

জাহেদুল কবির | বুধবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:২৯ পূর্বাহ্ণ

অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমসে চলতি ২০২৩২০২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাইসেপ্টেম্বর) ১৬ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় লক্ষ্যমাত্রার প্রবৃদ্ধির বেড়েছে ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

কাস্টমস কর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার তৎপরতায় মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি কমে গেছে। এছাড়া আটককৃত পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কায়ন মূল্যের দ্বিগুণ জরিমানা করা হচ্ছে। ফলে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ইতিবাচক ধারায় রাজস্ব আদায় শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসে ২০২৩২০২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। আগস্ট মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ হাজার ২৭ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৫০ কোটি টাকা। অক্টোবর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা এবং ডিসেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। জানুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা। মার্চ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৯১ কোটি টাকা। এপ্রিল মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৭১ কোটি টাকা। মে মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। জুন মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৪৩ কোটি টাকা।

কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তারা বলছেন, গত অর্থবছরে দেশে ডলার সংকটের কারণে এলসি (ঋণপত্র) খোলার হার কমে গেলেও এখন উচ্চ শুল্কের অনেক পণ্য আমদানি হচ্ছে। এছাড়া কাস্টমসের গোয়েন্দা দলের কড়াকড়ির কারণে রাজস্ব ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সী আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসের চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে কাস্টমসের কর্মকর্তাদের দূরদর্শী ও কঠোর নজরদারির কারণে। বর্তমানে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি অনেকাংশে কমে গেছে। এতে সরকারের রাজস্ব সুরক্ষা বেড়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখালেদা জিয়ার প্রতি শেখ হাসিনার মহানুভবতা নজিরবিহীন : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপির রোডমার্চে চট্টগ্রামে পাল্টা কর্মসূচি নেই আওয়ামী লীগের