বাড়ির বাইরে সিসিটিভি পাহারায় কিশোর গ্যাং

নারী মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

মাদক বিক্রি, পাহাড়ে জমি দখল, জুয়ার আসর পরিচালনা এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের জন্য নারী ও কিশোরদের নিয়ে পৃথক গ্রুপ পরিচালনা করতেন খাদিজা বেগম (৪২)। দৈনিক কিংবা সাপ্তাহিক হারে বেতন দেওয়া হতো তাদের। কেউ বাধা দিতে এলে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতেন। বিস্ময়ের বিষয় হলো, বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার রৌফাবাদে দুর্গম পাহাড়ে অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে তুলে দিনের পর দিন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করলেও থানায় তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই! তার আস্তানা থেকে বাইরের চিত্র পর্যবেক্ষণে বাড়ির চারপাশে লাগিয়েছেন ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়তেই হয়েছে পুলিশের হাতে। গত শনিবার রাতে রৌফাবাদ খালপাড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান আজাদীর কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিভিন্ন সময় তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু লিখিত অভিযোগ না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় নি। গত ২৩ নভেম্বর ইয়াবাসহ তার মেয়ে ও জামাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খাদিজার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার স্বামী আব্দুল মান্নান পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাহাড়ে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের রান্নাঘর তল্লাশি করে ১১৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, পাহাড়ের ভেতরে এমন এক এলাকায় খাদিজা বাড়ি বানিয়েছে, যেখানে রৌফাবাদ থেকে পায়ে হেঁটে যেতে অন্তত ১৫/২০ মিনিট সময় লাগে। বাড়ির আশেপাশে লাগিয়েছেন সিসিটিভি। নারী ও কিশোর বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা সরবরাহ করেন। বাসায় দিনরাত চলে জুয়ার আসর। পাহাড়ে সরকারি খাস জায়গা দখল করে বিক্রি করে। বিরোধপূর্ণ জায়গার দখল করে দিতো। তিনি ক্যামেরার লিংক রেখেছেন নিজের মোবাইলে। ঘরে বসেই মোবাইলে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন খাদিজা। পাশাপাশি কিশোর গ্যাঙের সদস্যরা বাসার আশেপাশে পাহারায় থাকে। খাদিজার স্বামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধবোয়ালখালী, আনোয়ারা ও চন্দনাইশে আ. লীগের ২৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা