বাম্পার ফলনের পরও হতাশ চাষি

উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে এবার সবজির বাম্পার ফলন হলেও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে ন্যায্য দাম পাচ্ছে না কৃষকেরা। কিন্তু পাইকারী বাজারে এবার দূর-দূরান্ত থেকে সবজি নিয়ে আসা কৃষকেরা লোকসান দিয়ে সবজি বিক্রি করেছেন বলে জানা যায়। তবে উপজেলা কৃষি অফিসের মতে সবজির বাজারমূল্য নিয়ে কৃষকরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকায় দুই হাজার সাত শত হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। উৎপন্ন হয়েছে বেগুন, মূলা, টমেটো, বরবটি, শসা, লাউ, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ৪০হাজার মেট্রিক টন সবজি। এছাড়া প্রায় দুই হাজার আট শত হেক্টর জমিতে শিমের চাষ করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা পাইকারি বাজারগুলোতে বিভিন্ন শাকসবজি নিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছেন। পাইকারদের কাছে বিক্রির জন্য উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে এখানে সবজি নিয়ে আসেন কৃষকেরা। বাজারে আসা সবজিচাষিরা জানান, বেশি দামে সার ও কীটনাশক কিনতে হচ্ছে। সেচ দিতেও খরচ হয় অনেক টাকা। উৎপাদন করতে যে টাকা খরচ হয়েছে, তার অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে। ভালো ফলন হলেও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তারা। গত সপ্তাহে সবজির কিছুটা দাম থাকলেও এই সপ্তাহে তা কমে লোকসানের মুখে পড়েছেন অনেকেই। এমন চলতে থাকলে তাদের উৎপাদন খরচও উঠবে না বলে জানান চাষিরা। চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা পাইকারি ক্রেতারা জানান, সবজি সরবরাহ বেশি পরিমাণে থাকায় সীতাকুণ্ডে শাকসবজির দাম দিন দিন কমতে শুরু করেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাবিব উল্ল্যাহ বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়া মধ্যেও এবার সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকায় কৃষকরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতাল গাছ সমান উঁচু খেজুর গাছ
পরবর্তী নিবন্ধদেশে এক দিনে শনাক্ত রোগী বেড়ে ৩৮২