বাবুলের দুই সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পিবিআই

মিতু হত্যা মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু খুনে তাঁর স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের মামলায় তাঁর দুই সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতে ফের আবেদন করেছে পিবিআই।
গত বুধবার আদালতে আবেদনটি করেন পিবিআই পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক। আগামীকাল রোববার এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে এমনটা জানিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বেঞ্চ সহকারী কপিল উদ্দিন। তিনি বলেন, মহানগর হাকিম আদালতে পিবিআই আবেদনটি করে। বাবুলের দুই সন্তান শিশু হওয়ায় আবেদন বিষয়ে আমাদের আদালতে শুনানি হবে। আদালতসূত্র জানায়, এর আগে মিতুর বাবা অর্থাৎ বাবুলের শ্বশুরের মামলায় দুই সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। তখন আদালত তা মঞ্জুরও করেন। কিন্তু তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের জ্ঞিাসাবাদ করেননি।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। এই ঘটনায় তখন বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সে সময় বাবুল আক্তার দাবি করেন, জঙ্গিরাই তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে। উক্ত মামলা ডিবি পুলিশ হয়ে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তদন্ত শেষে সংস্থাটি গত বছরের ১২ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
যেখানে বলা হয়, বাবুল আক্তারই স্ত্রী মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এদিকে পিবিআইয়ের উক্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে একই বছরের ১৫ অক্টোবর আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করে বাবুল আক্তার। পিবিআইয়ের উক্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন ও বাবুলের নারাজি পিটিশন বিষয়ে গত ৩ নভেম্বর শুনানি অনুষ্ঠিত হলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সাথে নারাজি পিটিশনটিও খারিজ করে দেন ম্যাজিস্ট্রেট এবং মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, বাবুলের মামলায় পিবিআই যেদিন আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সেদিন পাঁচলাইশ থানায় মিতু খুনের ঘটনায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করে বাবুলের শশুর বা মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন নতুন একটি মামলা করেন। শশুরের করা সে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাবুল আক্তারই পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী মিতুকে লোক লাগিয়ে হত্যা করে।
একপর্যায়ে বাবুল আক্তারকে শ্বশুরের করা এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আগের দিন অর্থাৎ গত বছরের ১১ মে ঢাকা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই। সে থেকে এখন পর্যন্ত তিনি এ মামলায় ফেনী কারাগারে আছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাড়ে ১২ কোটি টাকার আইস ফেলে পালাল চোরাকারবারি
পরবর্তী নিবন্ধমোবাইল উপহার থেকে খুন