বাবার সাহচর্য

মেহেরুন নেসা রশিদ | রবিবার , ১৯ জুন, ২০২২ at ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

ছোটদের গড়ে তুলতে মায়ের ভূমিকা যেখানে, মানসিক সুস্থতার জন্য বাবার ভূমিকাও সেখানে। সুন্দর জীবন বিকাশের জন্য বাবাকেও দরকার, মায়ের ছুটির পাশাপাশি বাবার ছুটিও দেন যেনো সরকার। অনেক বাবারা বুঝতে চাননা,বাবার ভূমিকার গুরুত্ব, সন্তানের কোন সমস্যায় দেখান,মায়ের সাথে বীরত্ব। শিশুদের প্রথম পাঠদান, শুরু হয় নিজেরই ঘর, একটি শিশু বড় হতে,পায় সে সবার আদর।

সুশিক্ষা কুশিক্ষা যাই হোক, পায় মায়ের থেকে, সবার সহযোগিতা থাকা চাই, সে যেনো ভালো কিছু শিখে। সংসার সামলে সন্তানের প্রতি দৃষ্টি একা কষ্ট মায়ের, বাবাও যদি একটু দৃষ্টি দেন, সন্তানের মানসিক বিকাশের। অবসর সময়টা গল্পে, আনন্দে আদর্শ শিক্ষা পেতে, কাজকর্ম ভাল শিক্ষায় থাকবে সবাই আনন্দে মেতে।

পাশ্চাত্য দেশের পিতারা শিশুদের অগ্রগামী কর্ণধার, স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তুলতে এ তো বাবাদের অধিকার। মাতো আছেন সারাবেলা, শিশুদের নিয়ে করেন সংসার, শত কাজের মাঝেও সন্তানের ভালো মন্দ দেখেন বারবার। তাইতো মায়ের সাথে বেশী সন্তানের সহৃদয় আন্তরিকতা, বাবা হয়ে যান দূরের মানুষ, সুষ্ঠু বিকাশে বাবার প্রয়োজনীয়তা। সবই দরকার সন্তানের, কিন্তু কাজের চাপে পারে না সময় দিতে, তাইতো শিশুরা অকারণে ভয় পায়, পারে না স্বাভাবিক মেনে নিতে। বাবার সান্নিধ্য না পেলে শিশুরা হয়ে যায় অকারণে ডানপিটে, অনেক সময় তাই হয় অবাধ্য,অকারণে ঘুরে বেড়ায় মাঠে ঘাটে।

সংসারের খরচ যোগাতে বাবাদের বাহিরে সময় কাটে বেশী, ডানপিটে শিশুরা তাই বাবা ঘরে না থাকলে বেশী খুশী। বাবার আদর স্নেহ মায়া মমতার বাঁধন হয়ে যায় কিছুটা শিথিল, তাইতো আদর্শ বাবার শিক্ষা, সন্তানের মন হয় না যেনো কুটিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবা ছাড়া জীবন
পরবর্তী নিবন্ধবাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা