বান্দরবানে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

৪ আসামি পলাতক

বান্দরবান প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৩:৪৭ অপরাহ্ণ

বান্দরবানে অপহরণের পর হত্যা মামলায় ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই মামলায় এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী ভূইয়া আদালত এই আদেশ দেন।

আদালত ও আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, রোয়াংছড়ি উপজেলার খানসামা পাড়া থেকে চট্টগ্রামের চন্দ্রনাইশের গরু ব্যবসায়ী ছোট্ট মিয়াকে (৪৫) অপহরণ করে গলা কেটে হত্যা করে লাশ হ্লাপাইক্ষ্যং মৌজস্থা সারাম্রাং ঝিরিমুখে মাটি চাপা দেয় আসামিরা।

এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মো. আমজু মিয়া বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় পুলিশ প্রধান আসামি উচিংনু মারমাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে সম্পৃক্ত বাকি ৪ আসামির তথ্য দেয়।

দীর্ঘদিন মামলাটি আদালতে চলার পর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেন দেয় আদালত।

একই সাথে দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপরাধের সাক্ষ্যপ্রমাণ অপসারণ করায় আরও ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন উচিংনু মারমা (২২), উবা চিং মারমা (৩০), চিংনু মং প্রকাশ হদা (২৩), মংনুমং প্রকাশ মংনু (৫০) এবং মংথু প্রকাশ মং ক্যাসিং মারমা।

আসামিদের প্রথম চারজন সদর উপজেলার লুলাইন হেডম্যান পাড়ার এবং শেষের জন লুলাইন পুনর্বাসন পাড়ার বাসিন্দা। আসামিদের মধ্যে উচিংনু মারমা (২২) রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি উচিংনু মারমা আদালতে উপস্থিত ছিল। অন্যরা পলাতক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, ভিকটিম ছোট্ট মিয়া চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার দিয়াকুল এলাকার মৃত আনু মিয়ার পুত্র। গরু কিনতে এসে রোয়াংছড়ি উপজেলার খানসামা বাজার থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন। ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রধান আসামি উচিংনু মারমার বর্ণনামতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে ভিকটিম ছোট্ট মিয়ার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।

ঐদিন নিহতের ভাই মো. আমজু মিয়া বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী ভূইয়া ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ আদেশ দিয়েছেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল করিম বলেন, “হত্যা মামলাটি দীর্ঘ পনের বছর আদালতে চলমান ছিল। বিভিন্ন সাক্ষীর বক্তব্য এবং আসামির স্বীকারোক্তির তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত হত্যাকারী ৫ আসামীকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড, দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে প্রত্যেককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় ছোট ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে বড় ভাইয়ের মৃত্যু