বাগানপ্রেমী আঁখি আলমগীর

| শনিবার , ২৯ মে, ২০২১ at ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ

দেশের নামকরা অভিনেতা আলমগীরের মেয়ে আঁখি আলমগীর। তার নিজেরও একটা বড় পরিচয় আছে। তিনি একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। গান গেয়ে জিতেছেন জাতীয় পুরস্কার। ছোটবেলায় আবার অভিনয়ও করেছেন। তবে মাত্র একটি ছবিতে। তাতেও পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। বর্তমানে আঁখি আলমগীর পুরোদস্তুর একজন গানের মানুষ।
তবে গানের পাশাপাশি এই কণ্ঠশিল্পী ভিষণ রকমের বাগানপ্রেমী। বাগান করতে তিনি ভালোবাসেন। ফুল, ফল, লতাপাতা, যেকোনো গাছই তার পছন্দ। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বাগানের প্রতি তার এই ভালোলাগার কথা আঁখি আলমগীর নিজেই জানিয়েছেন। গায়িকার সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-
‘আমার বাগানের খুব শখ। সময়-সুযোগের জন্য কেন যেন বাগানটাই করা হলো না। অথচ আমার শিশুবেলা কেটেছে নানা রকমের ফল, ফুল, সবজির বাগানে। তেজগাঁও স্টেশন রোড ছিল দাদার বাড়ি। বিশাল জমির ঠিক মাঝখানে এল শেপের দোতলা বাড়ি। হরেক রকমের ফলগাছের জন্য দিনের বেলায় যা বাগানবাড়ি বলে মনে হতো, রাতেই হয়ে যেত তা ভূতের বাড়ি।’ ‘ছোটবেলায় কতবার যে ভূতের ভয় পেতাম আর দৌড়ে পালাতাম, এখন বুঝি সব ছিল বাতাসে দোল খাওয়া গাছের ছায়া। ছায়া দেখে ভয় পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু কখন যেন ছায়ার ছন্দ আমি ধরে ফেলেছি বুঝিনি, সাথে সুর। আমার গান, আমার নাচ ছোটবেলা থেকেই অপ্রতিরোধ্য। বাড়িতে আসা যেকোনো মেহমানের জন্য চা নাশতার সাথে আমার গানের ফ্রি পরিবেশনা। সবাই বলত এই মেয়ে নিশ্চয়ই বড় অভিনেত্রী হবে। খুব রাগ হতো, শুনলাম গান, বলে অভিনেত্রী হবে। তার মানে গানটা ভালো হলো না? মন খারাপের সাথে জেদ চেপে যেত।’ ‘ভোর ৫টায় উঠে প্র্যাকটিস করতাম, ৭টায় স্কুলে যেতাম। এর পরেও মাত্র একটি ছবিতে (ভাত দে) অভিনয় করেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে যাই আর সবার আমার গানটাকে পাশ কাটানোর ব্যক্তিগত তাগিদের আগুনে যেন নতুন করে ঘি ফেলা হয়। তবু থামিনি, অতঃপর আমি আজকের কণ্ঠশিল্পী। এটাই আমার প্রফেশন, পরিচয়। এবং অবশেষে আমি গানেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করি। এখনো চলছি, চলব- ইচ্ছা এমনটাই আছে।’ ‘অনেক অনেক গল্প, অভিজ্ঞতা, সাহসিকতা আর ভ্রমণে ভরা আমার জীবন অনেকটাই যাযাবরের মতো, যার ঘর পালানোর পরেই আবার ঘরে ফিরে আসতে ইচ্ছা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুশান্তের মৃত্যু তদন্তে নতুন মোড় সিদ্ধার্থ গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধখন্দকিয়ায় শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ