বাংলাদেশ ভালো নির্বাচন আয়োজনে অধিকতর যোগ্য

মেয়রের সাথে বৈঠকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১ মার্চ, ২০২২ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের কাছে মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন প্রত্যাশা করেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিজে একটি ভালো নির্বাচন আয়োজনে অধিকতর যোগ্য। আমরা বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। নির্বাচনে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমরা বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। গতকাল সোমবার বিকেলে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের নতুন প্রোগ্রাম আছে। বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে এই জলবায়ু অংশীদারিত্ব হবে একটি বৃহৎ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা প্রকল্প। কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য জলবায়ু অংশীদারিত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আলোচনা করেছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে বলেন, এটা রাশিয়ার বেআইনী আগ্রাসন। এটি একটি অত্যন্ত ভয়াবহ অপরাধ। অবিলম্বে এ আগ্রাসন বন্ধ করা উচিত। কোনো অজুহাত না দেখিয়ে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহার করা উচিত। তবে আশাবাদের কথা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা দিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যাতে সম্পূর্ণ বেআইনী আগ্রাসনের একটা অর্থনৈতিক মূল্য তাদের চুকাতে হয়।
যুদ্ধ পরিস্থিতি বৈশ্বিক অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ পূর্বানুমান আমরা করতে পারি না। যখন একটি যুদ্ধ চলমান তখন এর বিঘ্নকারী প্রভাব অবশ্যই পরবে। আমরা হয়ত ধারণা করতে পারি জ্বালানি মূল্য ও ভোগ্যপণ্যের দামে প্রভাব পরবে। অর্থনীতিতেও এর বিরূপ প্রভাব পরবে।
এর আগে উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বিজয়নগর ছড়ার পাড়ে সিডিসির জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রর্বাট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, বিজয় নগর ছড়া একটি পাহাড় ঘেরা অঞ্চল। এখানকার প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ঐক্যের বন্ধনে একত্রে বসবাস করতে দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি।
এ সময় সিটি মেয়র বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করা না গেলে উন্নয়নের সুফল দৃশ্যমান হবে না। ইউএনডিপি (এলআইইউপিসি) প্রকল্প গ্রহণ করে বিজয় নগর ছড়ার পাড়ে যে পরিবর্তন সাধন করেছে তাতে তাঁরা অভিনন্দন পাওয়ার দাবি রাখে।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম, জাতীয় প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুম পাটওয়ারী, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, ক্লাইমেট চেইঞ্জ টিম লিডার জন ওয়ার বার্টন, কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তসলিমা বেগম নুরজাহান, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারজানা মুস্তাফা, ইউএনডিপির টাউন ম্যানেজার মো. সরোয়ার হোসেন খান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেষটা রাঙানো হলো না
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরবে আজাদী