বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু পরিপূরক

| বুধবার , ২৪ মার্চ, ২০২১ at ৮:১০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, আমাদের স্বাধীনতা,স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা প্রত্যেকটি একে অপরের সাথে জড়িত। বাংলার মানুষ চিরকাল ধরে নির্বিবাদি ছিল, কিছুটা সহজ-সরল, অলস, কর্মহীন, আয়েশি। অল্পতে তুষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা ভেঙে পড়ে এমন স্বভাবের। ফলে বাঙালি জাতির ইতিহাসে গৌরব করবার মতন কোন বীরত্ব গাঁথা ছিল না। ‘৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর আমরা নতুন আরেকটা বাঙালি জাতিকে দেখতে পাই। তার পূর্বে কালেকালে বিদেশি প্রভুরা আমাদের শাসন করার নামে শোষণ করেছে। সেটা আর্য-অনার্য, মুসলমান,ইউরোপীয়, পর্তুগিজ তুর্কি, দক্ষিণ এশিয়া থেকে মধ্য এশিয়া নানানজন নানান সময় নানানরকম ফন্দিবাজী করে আমাদের রক্ত চুষে খেয়েছে। আমাদের মাথার উপর নুন রেখে ওরা বরই খেয়ে গেছে এমন। পাশার দান বদলে দেন যিনি তিনি হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর মতন নেতা হাজার বছরে দু-একজন জন্মায়। পৃথিবীর সর্বত্র খুঁজে এরকম মুষ্টিমেয় নেতা জন্মায়। বাঙালি জাতির ভাগ্য ভাল। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সত্যিকারার্থে জনগণের নেতা ছিলেন। তাই তাঁর কথায় জনগণ গর্জে উঠে, মাঠে নামে, নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে কার্পণ্য করেনি। তাঁর আগেও কি বাঙালি জাতির ভাগ্য বিড়ম্বনা ছিল না ছিল। আরো ছোট ছোট কিছু প্রচেষ্টা মাস্টারদা, প্রীতিলতারা, অন্য বিপ্লবীরা করেছে। তবে তা ছিল বিক্ষিপ্তভাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ডাকে বাংলাদেশের পূর্ব – পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ কেঁপে উঠে। রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া তাঁর সাত মার্চের ভাষণের তুলনা আর হয় না। তিনি সে ভাষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাঁর কথা মতন শুরু হয় মুক্তির সংগ্রাম। তাঁর প্রতি সাধারণ মানুষের কত অগাধ আস্থা, শ্রদ্ধা তাঁর অনুপস্থিতিতেও যুদ্ধ থামেনি। সেটাই তার বড় প্রমাণ। ‘৭১ এ বাঙালি লড়ে গেছে দাঁতে দাত চেপে। এবং শেষাবধি বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তাই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুও থাকবেন। বঙ্গবন্ধু কেবল বাঙালির একার সম্পদ। আমাদের একান্ত আপনজন। গৌরব করবার মতন আমাদের পুর্বপুরুষদের একমাত্র সঠিক পথদ্রষ্টা।
সিরাজুল মুস্তফা, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৭৮৬
পরবর্তী নিবন্ধআবার করোনার তাণ্ডব