বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচে দু’দলের প্রত্যাশা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | রবিবার , ৩০ অক্টোবর, ২০২২ at ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ

ম্যাচের আগের দিন গতকাল শনিবার অনুশীলন ছিল না বাংলাদেশ দলের। স্রেফ নুরুল হাসান সোহান ও ইয়াসির আলি চৌধুরি ব্যাটিং অনুশীলন করেন গ্যাবার নেটে। তাদের সঙ্গে ছিলেন কোচিং স্টাফরা। আগের ম্যাচ খেলার ক্লান্তি ও ভ্রমণের পর অনুশীলন করার চেয়ে বিশ্রাম নেওয়া ও শরীরকে রিকভারির সময় দেওয়া বেশি জরুরি মনে করেছে দল। এ দিন অনুশীলন নেই বলেই আগের দিন সিডনিতে থেকে ব্রিজবেন এসে বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি মাঠে গিয়ে উইকেট দেখে আসে গোটা দল। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আগে বেশ কবারই বলেছেন, টুর্নামেন্ট শুরুর পর এখন আর বাড়তি অনুশীলন বা নতুন কিছু নিয়ে কাজ করার সুযোগ নেই। প্রস্তুতি যা নেওয়ার, তাদের মতে তা আগেই নিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ দলে অন্তত একটি পরিবর্তন একরকম অনুমিতই। দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য মেহেদী হাসান মিরাজকে একাদশে নেওয়া হয়েছিল। তার বদলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একাদশে ফিরতে পারেন ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি কিংবা গ্যাবার বাউন্সের কথা ভেবে যোগ করা হতে পারে আরেকজন পেসার। প্রতিপক্ষ যেহেতু জিম্বাবুয়ে, মিরাজের বদলে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে নামিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে একাদশে একটি-দুটি পরিবর্তনের চেয়েও বেশি জরুরি সামগ্রিক পারফরম্যান্স ও মানসিকতায় বদল। জিম্বাবুয়েকে হারাতে পারলে অন্তত কাগজে-কলমে বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে এটি। জিম্বাবুয়ে জিতে গেলে বড় এক পদক্ষেপ নেবে সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন পূরণের পথে।

জিম্বাবুয়েও আগের ম্যাচ খেলেছে একই দিনে এবং পার্থ থেকে লম্বা ফ্লাইটে তারা এসেছে ব্রিজবেন। তবে ম্যাচের আগের দিনও গোটা দলকে দেখা গেছে অনুশীলন করতে। ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি গ্যাবায় অনেকটা সময় ধরে ফিল্ডিং অনুশীলনও সেরে নেয় তারা।

অভাবনীয় ও বড় জয়ের পর অনেক সময়ই তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকা দলগুলির একটু আত্মতৃপ্তি চলে আসে। কাজ শেষ হয়ে গেছে বলে একটা অনুভূতি খেলা করে, মনোযোগ নড়ে যায়। তবে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন বললেন, এই এক জয়েই তারা তৃপ্ত নন। বাংলাদেশকে হারাতে পারলে সামনে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়টাও তো প্রত্যাশিত। আরভিন তাই স্বপ্ন দেখছেন সেমি-ফাইনালে জায়গা পাওয়ার। ‘আমরা জানি, বাংলাদেশ মানসম্পন্ন দল এবং তাদের বিপক্ষে নিশ্চিতভাবেই সেরাটা খেলতে হবে আমাদের। ছেলেরা অবশ্যই তেতে আছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর অবশ্যই ছেলেরা আত্মবিশ্বাসী। তবে আমরাও জানি, খেলাটা কতটা নড়বড়ে এবং কতটা দ্রুত সব বদলে যেতে পারে।’ ‘আমাদের সুযোগ আছে সেমিতে খেলার। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে হবে, এরপর নেদারল্যান্ডসকে হারাতে হবে। এরপর ভারতের বিপক্ষে খেলা সঙ্গে অন্য কিছু ম্যাচের ফল মিলিয়ে সুযোগ আসতে পারে আমাদের। তবে আপাতত অত দূর তাকাচ্ছি না আমরা। আপাতত কালকের ম্যাচে ভালো পারফর্ম করতে চাই।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বোট ক্লাবে সিবিসি মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধজয় দিয়ে শুরু বাকলিয়ার