বহদ্দারহাট মোড়ে নতুন যন্ত্রণা

সকাল দুপুর সন্ধ্যায় তিন চিত্র

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

নগরীর নতুন যন্ত্রণার আরেক নাম বহদ্দারহাট মোড়। দিনভর নানাভাবে মোড়টি রঙ পাল্টায়। সকাল দুপুর সন্ধ্যায় এই মোড়ে বিরাজ করে তিন চিত্র। কখনো বাজার বসে, বিক্রি হয় তরিতরকারি থেকে শুরু করে নানা কিছু, কখনো ফুটপাত থাকে বিভিন্ন ফলসহ ক্ষুদে হকারদের দখলে। আবার কখনো রিক্সা-টেক্সির জটলা। সবকিছুতেই দুর্ভোগে পড়ে এলাকার মানুষ, পথচারী। মারাত্মক রকমের যানজটে স্থবির হয়ে যায় পুরো এলাকা।
নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম মোড় হচ্ছে বহদ্দারহাট মোড়। এই মোড়ের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নির্মাণ করা হয়েছিল ফ্লাইওভার। ফ্লাইওভার চালুর পর যানজট কিছুটা কমলেও বহদ্দারহাট মোড়ে পুরোপুরি গতিশীলতা আসেনি। বিশেষ করে নানা অব্যবস্থাপনা এবং চাঁদাবাজি বহদ্দারহাট মোড় জনভোগান্তির অন্যতম নয়া স্পটে পরিণত হয়েছে।
বহদ্দারহাট মোড়ে রাস্তার উপর কখনো কাঁচাবাজার বসে। রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে বিক্রি হতে থাকে তরিতরকারি। আবার কখনো ভ্যানে করে বিক্রি হয় নানা পণ্য। রয়েছে বাস ও টেক্সি-টেম্পোর অবৈধ স্ট্যান্ড। স্থানীয় মাস্তানদের চঁাঁদাবাজির একটি উর্বর ক্ষেত্র বহদ্দারহাট মোড়। রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে চাঁদাবাজি চলে এলাকা জুড়ে। দোকানপ্রতি নির্ধারিত হারে চাঁদা নেয়ার পরই দেয়া হয় রাস্তা দখল করে পণ্য বিক্রির সুযোগ।
কয়েকটি গ্রুপ মোড়কে ভাগ করে নিজেদের মতো করে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। এদের কেউ কেউ নিয়ন্ত্রণ করে তরিতরকারি বিক্রি, কেউবা নিয়ন্ত্রণ করে মাছের বাজার, আবার কেউ কেউ ভ্যান। টেম্পো-টেঙির স্ট্যান্ডও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। শুধু মাস্তান নয়, পুলিশকেও নিয়মিত চাঁদা পরিশোধ করতে হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বহদ্দারহাট মোড়ে সকাল থেকে শুরু হয় সড়ক ও ফুটপাত দখল। দিনের একটি বড় অংশ কাপড়সহ নানা পণ্যের পসরা থাকে রাস্তায়। থাকে ভ্যান। ভ্যানে বিরানী, ফলসহ নানা কিছু বিক্রি হয়। সন্ধ্যার পর ভ্যানে ভ্যানে তরিতরকারি এবং মাছের বাজার বসে যায় রাস্তা ও ফুটপাতের বড় অংশ জুড়ে।
অবৈধ দখলদারদের অপতৎপরতায় এ মোড় দিয়ে চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে। রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। জনভোগান্তির এই স্পট নিয়ে সংশ্লিষ্টদের উদাসিনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বন্দর দূষণে জেল-জরিমানা বাড়ছে
পরবর্তী নিবন্ধসেই বিচারককে নিয়ে আপিল বিভাগের আরেক আদেশ