চট্টগ্রাম বন্দর দূষণে জেল-জরিমানা বাড়ছে

সংসদে বিল উত্থাপন

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা দূষণের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার বিধান কঠোর করে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। বন্দরে দূষণ করলে ৩ বছরের জেল ও ৩ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১’ গতকাল সংসদে তোলা হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন। প্রস্তাবিত বিলটি পরীক্ষা করে দুই মাসের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট দেয়ার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিদ্যমান ১৯৭৬ সালের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয় বলে সূত্র জানায়। ১৯৭৬ সালে পাস করা অধ্যাদেশে বন্দর এলাকা দূষণের জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে ওই জরিমানা তিনগুণ এবং সাথে ৩ বছরের কারাদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত আইনে শাস্তি পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের বিধান অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।
প্রস্তাবিত খসড়া আইনে বলা হয়, এই আইনের অধীনে কোনও বিধান লঙ্ঘন করলে (যার শাস্তি উল্লেখ নেই এমন ক্ষেত্রে) সর্বোচ্চ ছয় মাসের শাস্তি এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
বিলে বলা আছে, বন্দরের ভাড়া ও টোল আদায়ের বিষয়ে তফসিল তৈরি করে সরকারের কাছে অনুমোদন নিতে হবে। তবে ৫ হাজার টাকার কম হলে অনুমোদন নিতে হবে না। বন্দরের উন্নয়ন সমপ্রসারণে একটি তহবিল রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। প্রস্তাবিত আইনে একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি পরিচালনা প্রশাসক বোর্ড রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে চারজন সদস্য রাখা হয়েছে। প্রতি দুই মাসে অন্তত একটি বোর্ড সভা করার বিধান খসড়া আইনে রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়- বন্দর এলাকায় কোনও জাহাজ বা যান্ত্রিক উপকরণের কারণে বর্জ্য তৈরি হলে তার মালিক বা মাস্টার বা প্রতিনিধিকে তা অপসারণ করতে হবে। অপসারণে সময়সীমা অতিক্রম করলে মাশুল দিতে হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই বর্জ্য অপসারণ করবে। এর জন্য যে খরচ হবে তার দ্বিগুণ দায়ীকে দিতে হবে। কোনও ভাড়া, জরিমানা, ফি, টোল, মাশুল বা ক্ষতিপূরণ অনাদায়ী থাকলে বন্দর কর্তৃপক্ষ তার নিয়ন্ত্রণে থাকা দায়ী পণ্য নিলাম করে অর্থ আদায় করতে পারবে বলে বিলে বলা হয়েছে। কোনও জাহাজের মাস্টার, বা জাহাজে কর্মরত কারও অবহেলার কারণে যদি ডক, পিয়ার বা কোনও স্থাপনা বা কর্তৃপক্ষের কোনও ক্ষতি হয়, তবে ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে বলে বিলে বিধান রাখা হয়েছে।
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত আইনটি চট্টগ্রম বন্দর এলাকা তথা কর্ণফুলী নদীকে দূষণমুক্ত রাখার ক্ষেত্রে বড় ধরণের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও সূত্র মন্তব্য করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহানগর আ. লীগের ৫ ওয়ার্ডের ক ইউনিটের সম্মেলন আজ
পরবর্তী নিবন্ধবহদ্দারহাট মোড়ে নতুন যন্ত্রণা