বন কেটে ইটভাটা

চকরিয়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো চুলাসহ বিভিন্ন স্থাপনা

চকরিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ২ মার্চ, ২০২২ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর আলোচিত উচিতার বিল মৌজায় বন্য হাতির অভয়ারণ্য ধ্বংসসহ পাহাড় ও গাছ কেটে অবৈধভাবে গড়ে তোলা জিএলবি নামক ইটভাটায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ সময় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। একইসঙ্গে অভিযানে ইটভাটার মূল চুলাটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এ সময়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে নেতৃত্বে দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ডিডি) শেখ মো. নাজমুল হুদা, পরিদর্শক মাহবুবুল আলম এবং পুলিশ, বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, ফাঁসিয়াখালী বনবিটের সংরক্ষিত বনে বন্য হাতির অভয়ারণ্য ধ্বংস করে অবৈধভাবে এই ইটভাটা গড়ে তুলেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। ইতোপূর্বেও এই ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান এবং জেল-জরিমানা করেও বন্ধ করতে পারেনি অবৈধ কর্মকাণ্ড। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী একযুগেরও বেশি সময় ধরে এই ইটভাটা পরিচালনা করে আসছেন।
গতকালের অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা দৈনিক আজাদীকে বলেন, সংরক্ষিত বনের ভেতর অবৈধভাবে নির্মিত এই ইটভাটাটি পরিচালিত হচ্ছিল সনাতন পদ্ধতিতে। ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের যত ধারা রয়েছে সবগুলোই অমান্য করা হয়েছে ভাটা পরিচালনার ক্ষেত্রে। অবৈধ এই ইটভাটার কার্যক্রম যাতে ভবিষ্যতে আর পরিচালনা করতে না পারে সেজন্য ভাটার ম্যানেজারকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাহাড় সাবাড় করার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, সেটি বনবিভাগ দেখবে।
এই বিষয়ে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিটের অধীন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের উচিতারবিল মৌজায় অবৈধ ইটভাটার পাশের পাহাড় সাবাড়ের বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযার কাছে সেবা পেলেন তার মেয়েকেই অপহরণ!
পরবর্তী নিবন্ধ১৯ জুন এসএসসি ২২ আগস্ট এইচএসসি পরীক্ষা শুরু