বন্দী জিয়া কীভাবে অভ্যুত্থানের নায়ক হয়, প্রশ্ন জাসদ নেতৃবৃন্দের

| মঙ্গলবার , ৮ নভেম্বর, ২০২২ at ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ

সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) চট্টগ্রাম মহানগরী শাখার উদ্যোগে গতকাল সোমবার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দীন বাবুল। সভাপতিত্ব করেন মহানগর জাসদের সভাপতি মফিজুর রহমান। সভায় প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কর্ণেল তাহের বীরোত্তমের নেতৃত্বে সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। পক্ষান্তরে জিয়াউর রহমান বন্দী শিবিরে অন্তরীণ ছিলেন। কর্ণেল তাহেরই তাকে বন্দীদশা হতে মুক্ত করেন। অথচ কেউ কেউ দাবি করে জিয়াউর রহমান অভ্যুত্থান করেছেন।

একজন বন্দী যে নিজেই বড় অসহায় ছিলেন তিনি কী করে অভ্যুত্থান সংঘটিত করতে পারেন? অথচ তিনি একজন বিশ্বাসঘাতক, নিজের প্রাণরক্ষাকারীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন। আদালতের রায়ে কর্ণেল তাহের একজন জাতীয় বীর এবং দেশপ্রেমিক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন পক্ষান্তরে জিয়াউর রহমান একজন ষড়যন্ত্রকারী খলনায়ক হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছেন।

সভায় অন্যান্যর মাঝে বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. বেলায়েত হোসেন, মো. হোসেন, একেএম সামসুদ্দিন, হারুনুর রশিদ, মনিরুল ইসলাম, শহীদুল্লাহ মাস্টার, শ্রমিক নেতা আবুল কালাম, লিয়াকত আলী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, কামাল উদ্দীন প্রমুখ। এদিকে জাসদ চট্টগ্রাম মহানগর থানা সমূহের উদ্যোগে সিপাহী জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গতকাল মোমিন রোডস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সভা বাকলিয়া থানা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাসদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন শ্রমিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হাসান শহীদ রানা, জাসদ নেতা রেজাউল করিম, আনিসুর রহমান, মো. জামাল, মো. শাহাবুদ্দীন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোকেয়া বেগম
পরবর্তী নিবন্ধশেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অভিযাত্রা ধরে রাখতে হবে