কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদের মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে হাই কোর্ট। ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিতের যে আবেদন বদী করেছিলেন, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার তা খারিজ করে দিয়েছে। সেইসঙ্গে ১৫ বছর আগের এ মামলাটি আগামী এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। খবর বিডিনিউজের।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সোহেল, দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
ক্ষমতাসীন দলের সাবেক সংসদ সদস্য বদির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। মামলায় ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ২৪ জুন আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর ২০১৭ সালে মামলাটির কার্যক্রম আবার শুরু হয়। পরে এ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে চট্টগ্রামে বিচারিক আদালতে আবেদন করেন বদি। ওই আবেদন নাকচ করে গত ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। তখন ওই আদেশ বাতিল চেয়ে তিনি হাই কোর্টে রিভিশন করেন। চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি সেটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত।
এরপর আবার মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বিচারিক আদালতে আবেদন করেন বদি। শুনানি শেষ ১৮ এপ্রিল তা খারিজ করে দেয় আদালত। পরে এ বিষয়ে হাই কোর্টে আপিল আবেদন করলে শুনানি শেষে রোববার তা খারিজ করে দিল আদালত।