ইংল্যান্ডে ক্রিকেট শুরু হয়ে গেছে অনেক আগেই। পাকিস্তানেও মাঠে গড়িয়েছে ক্রিকেট। আরব আমিরাতে শেষ হয়েছে ক্রিকেটের সবচাইতে জমজমাট আসর আইপিএল। তবে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। সাত মাস বিরতির পর গত মাসে বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ফিরলেও করোনার কারণে সেই টুর্নামেন্টে দর্শকদের প্রবেশাধীকার দেয়নি বিসিবি। এমন কোন ভাবনাও তাদের ছিল না। তবে আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দর্শক উপস্থিতি নিয়ে ভাবছে বিসিবি। এই মর্মে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে তারা আলোচনা করবেন। এরপর মহামারিকালে দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে যেটা কল্যাণকর হয় তাই করবে বিসিবি। বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন জানান এখন পর্যন্ত সরকারের যে গাইডলাইন আছে সে অনুযায়ী আমাদের দর্শকদের খেলা দেখার ব্যাপারে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা তারপরও এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে যেটা বাস্তবে সম্ভব এবং ওই সময় যেটা পারমিট করবে সেভাবেই আমরা করব। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে শুরু হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রস্তুতি অনেকখানিই সেরেছে বিসিবি। ইতোমধ্যেই দলের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা চলছে। সমপ্রচারের বিষয়টিও চূড়ান্ত। প্লেয়ার্স ড্রাফটের দিন-তারিখও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আগামীকাল হবে সে প্লেয়ার্স ড্রাফট। আর টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচই মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিসিবি। পাশাপাশি বাদ বাকি বিষয়গুলোও অনতিবিলম্বেই শেষ হবে বলে জানালেন বিসিবির এই নির্বাহী প্রধান। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ নিয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।
আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের টিম স্পন্সর চূড়ান্ত করেছি। এর বাইরেও আমাদের যে ব্রডকাস্টিং বিষয়টাও চূড়ান্ত করেছি । এছাড়া অন্যান্য যে রাইটস গুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। খুব শিগগিরই বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে। ৫ দলের অংশগ্রহনে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মাঠে গড়াবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহনকারী দলগুলো হল; গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম, ফরচুন বরিশাল, বেক্সিমকো ঢাকা, মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ও জেমকন খুলনা।
