বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চূড়ান্ত মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ৯ মার্চ, ২০২২ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চের নবম দিন সারা দেশ ছিল মিছিলে মিছিলে উত্তাল। দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তখন চূড়ান্ত মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। তাঁর ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি অনুযায়ী সচিবালয়সহ সারা দেশে সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস, হাই কোর্ট ও জেলা আদালতসহ সবখানে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। বঙ্গবন্ধু যেসব সরকারি অফিস খুলে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুধু সেসব অফিস চালু থাকে। আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ন্যাপ প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মধ্যে সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এদিন। ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে বিশাল জনসভায় বাঙালির স্বধীনতা আন্দলন ও বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্তের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন ভাসানী। বিকেলে পল্টন ময়দানের ওই জনসভায় তুমুল করতালির মধ্যে তিনি বলেন, ইয়াহিয়া সাহেব, অনেক হয়েছে, আর নয়। তিক্ততা বাড়িয়ে লাভ নেই। তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার নিয়মে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা মেনে নাও। ভাসানী সেদিন বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশমত আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে কোনো কিছু না করা হলে আমি মুজিবের সঙ্গে মিলে ১৯৫২ সালের মতো তুমুল আন্দোলন শুরু করব। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই তখন পুরো পূর্ব পাকিস্তান পরিচালিত হচ্ছিল। তার নির্দেশ মেনেই ঢাকা হাই কোর্টের কোনো বিচারক টিক্কা খানকে গভর্নর হিসাবে শপথ পড়াতে অস্বীকার করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলাশ হয়ে বাড়ি ফিরল আরমান
পরবর্তী নিবন্ধসংস্কার হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর রোড কার্পেটিং