বক্তব্য রাখতে না দেয়ায় যা হলো

পটিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৬ আগস্ট, ২০২২ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূর রশিদ চৌধুরী এজাজকে বক্তব্য দিতে না দেয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। সেখানে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, এসময় তিনি গালগালি করলে এক পর্যায়ে হাতাহাতিও হয়। গতকাল সোমবার রাত ৮টায় আলোচনা সভা শেষে হল টুডে কমিউনিটি সেন্টারে কাঙালি ভোজ অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় জানা গেছে, পটিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিলনায়তনে বিষয়টি নিয়ে দলের সিনিয়র নেতারা বসে উভয়ের মধ্যে মীমাংসা করে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের এক সদস্য জানিয়েছেন, গত ২৬ ডিসেম্বর পটিয়া উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এজাজ চৌধুরী নৌকা প্রতীক চেয়ে না পেয়ে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। যার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ দল থেকে তাকে প্রাথমিক বহিষ্কারের পর স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রে লিখিত সুপারিশ পাঠিয়েছেন। তারপরও তিনি দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। গতকাল জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায়ও এজাজ অংশগ্রহণ করেন। সভায় তাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়ায় আলোচনা সভা শেষে কাঙালি ভোজে সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদকে উদ্দেশ্য করে গালাগালি করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে নেতাকর্মীরা এসে দুইজনকে শান্ত করান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ জানান, এটা এমন কিছু না, সামান্য একটু সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি হুইপ মিনিমাইজ করে দিয়েছেন।

অপরদিকে জানতে চাইলে আ’লীগ নেতা নূর রশিদ চৌধুরী এজাজ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কোথায় কিছুই তো হয়নি। এর বেশি কিছু মন্তব্য করতে তিনি রাজী হননি।

এদিকে ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে যেসব প্রার্থী দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করেছেন তাদেরকে বহিস্কার করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান আজাদীকে জানান, যারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদেরকে আমরা প্রাথমিকভাবে দল থেকে বহিস্কার করেছি এবং স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রে লিখিত সুপারিশ পাঠিয়েছি। যেসব বিদ্রোহী প্রার্থীকে আমরা জেলা থেকে প্রাথমিকভাবে বহিস্কার করেছি-তারা অবশ্যই ‘বহিস্কৃত’।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতিন কারণে বাড়ছে দাম
পরবর্তী নিবন্ধএক সঙ্গে বেড়ে ওঠা ডুবলও একসাথে