বই উৎসব আজ

চট্টগ্রামে এসেছে চাহিদার অর্ধেক

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:০৯ পূর্বাহ্ণ

নতুন বছর মানেই নতুন ক্লাস আর নতুন বইয়ের উৎসব। নতুন বইয়ের ঘ্রাণে শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। উৎসবের আমেজে নতুন বই হাতে পাওয়ার লোভে বছরের প্রথম দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকে সারা দেশের কয়েক কোটি শিক্ষার্থী।

গত কয়েক বছর করোনাভাইরাস এলোমেলো করে দেয় সব। নতুন বইয়ের অপেক্ষা থাকলেও উৎসবের আমেজ ছিল না। কারণ, বই উৎসব না করে বিকল্প উপায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হয় আগের বছরে।

এবার বই বিতরণে আবারও উৎসব ফিরছে। যদিও প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকের শতভাগ বই এখনো পৌঁছেনি। গতকাল পর্যন্ত প্রাথমিকের ৫১ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ৫৬ শতাংশ বই পৌঁছেছে চট্টগ্রামে। হিসেবে চাহিদার অর্ধেক বই দিয়েই উৎসব পালন হচ্ছে চট্টগ্রামে। তবে প্রথম দিন

সব বিষয়ের না পেলেও কোনো শিক্ষার্থী একদম বই না পেয়ে থাকবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম ও জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনী। এই দুই কর্মকর্তার দাবি, একজন শিক্ষার্থী সব বিষয়ের হয়তো পাবে না। তবে ৩টি/৪টি বা ৫টি করে বই পাবে। অর্থাৎ কোনো শিক্ষার্থী খালি হাতে যাবে না। কিছুদিনের মধ্যে অবশিষ্ট বই চলে আসবে। তখন শিক্ষার্থীরা সব বই পাবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২৩ সালের সম্ভাব্য চাহিদার ভিত্তিতে বরাদ্দকৃত মোট বইয়ের সংখ্যা ৪৫ লাখ ২২ হাজার ১০৯টি। গতকাল পর্যন্ত মোট চাহিদার ৫১ শতাংশ (২৩ লাখ ৬ হাজার ২৭৫টি) বই পাওয়া গেছে। বাকি ২২ লাখ ১৫ হাজার ৮৩৪টি (৪৯ শতাংশ) বই এখনো পাওয়া যায়নি। এছাড়া চট্টগ্রামের ২১টি থানাউপজেলার মধ্যে কয়েকটি ছাড়া বাকি থানাউপজেলায় প্রাকপ্রাথমিকের বই আসেনি।

মাধ্যমিকের ৪৪ শতাংশ বই পৌঁছেনি : চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলায় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮১ জন। এসব শিক্ষার্থীর জন্য এবার মোট বইয়ের চাহিদা ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি। এর মাঝে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৮ লাখ ৪১ হাজার ৫০২টি বই পাওয়া গেছে। হিসেবে চাহিদার ৫৬ শতাংশ বই পৌঁছেছে। আরো ৪৪ শতাংশ বই এখনো পৌঁছেনি।

এখনো বই আসছে জানিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনী বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই বাকি বই চলে আসবে বলে আশা করছি। তখন শিক্ষার্থীরা সব বই পাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে লাখো পর্যটকের ভিড়
পরবর্তী নিবন্ধ২০০ টাকার স্থলে ছয় হাজার টাকা!